ইজারাদারের বাঁধ, তিনশত একর রোপিত বোরো জমি পানির নীচে

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

ইজারাদারের বাঁধ, তিনশত একর রোপিত বোরো জমি পানির নীচে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: আমরা হাওরপাড়ের কৃষকরা জীবণেও দেখিনি ইজারাদার খাল গাঙের মূখে বাঁধ দিতে। লোক মূখে বাঁধ দেয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা খাল গাঙের মূখে উপস্থিত হয়ে ইজারাদার দীপক বাবুকে বাঁধা দিলে তিনি আমাদেরকে গালমন্দ করেন এবং লুটপাটের মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবেন বলে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে জোড় পূর্বক খাল গাঙের মূখে বাঁধ তৈরী করে। মাটিয়ান হাওরের স্লুইসগেটের ভিতরে পানি নিস্কাশনের নালা-খাল গাঙের মূখ মাটিয়ান হাওর জলমহালের ইজারাদার দীপক বাবু কতৃক মাটির বাঁধ দেয়ার কথা গুলো বলছিলেন মাটিয়ান হাওরপাড়ের উমেদপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম,সফিকুল,নিজাম উদ্দিনসহ শত শত কৃষক। তারা ক্ষোবের সাথে আরোও জানান,বাঁধ দেয়ার ফলে তাদের জমির পানি নিস্কাশন হতে না পারায় বর্তমানে পানি ফুলে ফেপে তাদের রোপিত বোর ফসল পাকার আগেই পানির নীচে তলিয়ে যাবে।

শফিক মিয়া,সাজিদুল মিয়সহ উপজেলার সচেতন মহল জানান,মাটিয়ান হাওরে অতীতে কখনো কোন ইজারাদার হাওরের পানি নিস্কাসনের রাস্তা বন্ধ করেনি। বর্তমান ইজারাদার দীপক বাবু যদি রাস্তা বন্ধ করে থাকেন তাহলে তিনি জলমহালের নীতিমালা লঙ্গন করেছেন। নীতিমালা অনুযায়ী ইজারা বাতিল করার জন্য দাবী জানাচ্ছি।

মাটিয়ান হাওরের স্লুইসগেটটি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। পানি নিস্কাশনের নালা খাল গাঙের হাওরের পানি নামার রাস্তায় বাঁধ দেয়ার কারণে মাটিয়ান হাওরপাড়ের উমেদপুর গ্রামের প্রায় তিনশত একর রোপিত বোর জমি জমাট বাঁধা পানির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে।

এঘটনায় উমেদপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আলীনূর,শাহজামাল,রুস্তম আলী,মাফিক,মতি রহমানসহ ২৫জন কৃষকের স্বাক্ষরিত স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল সুপারিশকৃত একটি লিখিত অভিযোগ গত রবিবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার বিকালে তাহিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার হজরত আলীতে মাটিয়ান হাওরের খাল গাঙের বাঁধে ডেকে পাঠিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী।
তাহিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার হজরত আলী বলেন,মাটিয়ান হাওরে সরজমিন পরিদর্শনে খাল গাঙের মূখে বাঁধ দেয়ার বিষয়টির সত্যতা পাই। পরবর্তী নির্দেশনা চেয়ে ইউএনও স্যারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করব।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন,উমেদপুর গ্রামের কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও কৃষি অফিসের কর্মকর্তা পাঠিয়েছিলাম তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছে। কৃষি কাজের কোন ধরনের ক্ষতি হয় তাহলে কৃষকের স্বার্থে বাঁধ কেটে ফেরতে হবে। এবং সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2020
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
29  

সর্বশেষ খবর

………………………..