সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে আসেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছাইদুর রহমান (৩৪)। তবে এই বিয়েতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছিল না। তাই বিয়ের বদলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর ঠাঁই হলো শ্রীঘরে।
রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে পুলিশ তাকে আটকের পর শ্রীঘরে পাঠিয়েছে। আটককৃত প্রবাসী ছাইদুর রহমান সিলেটের জালালাবাদ থানার হাওসা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাইদুর রহমান প্রথম স্ত্রী শাহিনার অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ের জন্য উপজেলার হুজুরের মেয়েকে পছন্দ করেন। এর আগে ছাইদুর রহমান প্রবাস থেকে ফোনের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে আকদ সম্পন্ন করেন।
বিষয়টি জানার পর প্রবাসীর প্রথম স্ত্রী শাহিনা আক্তার রুমি সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা (সি.আর মামলা নং-৫৪/২০২০) করেন। অন্যদিকে ছাইদুর রহমান বিয়ের জন্য শুক্রবার দেশে ফেরেন।
এর পর তিনি উপজেলার পৌর এলাকার ডাকবাংলোর পাশে একটি ফ্লাট ভাড়া নেন বিয়ের জন্য। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় রোববার সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাঁকঝমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসী ছাইদুর রহমান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বরণ করবেন।
এর পর বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করার পর প্রায় ৩০০ অতিথির জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। অতঃপর রোববার সন্ধ্যার পর প্রবাসী ছাইদুর রহমান যখন বরের পোশাক পরে বিয়ের আসরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন, ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে হাজির হয় একদল পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি ছাইদুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার লাউতলা গ্রামের কাচা মিয়ার মেয়ে শাহিনা আক্তার রুমিকে বিয়ে করেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসীর কাছে নিজ কন্যাকে বিয়ে দিতে কাচা মিয়া কয়েক লাখ টাকা খরচ করেন।
শুধু বিয়ের খরচ নয়, প্রবাসী জামাতার বিশেষ প্রয়োজনে তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছেন। বিয়ের পর ছাইদুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এ ব্যাপারে ছাইদুর রহমানের প্রথম স্ত্রী শাহিনা আক্তার রুমির বাবা কাচা মিয়া জানান, অনেক আশা করে আমার মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছাইদুর রহমানের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মেয়েকে বিয়ে করার পর সে নানা ছলছাতুরির মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। এ ছাড়া বিয়েতে আরও প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বিয়েবাড়ি থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd