সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কে এম জহিরুল হকের যুগ্ম-বেঞ্চ জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার সম্মতিসাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই (বিএসএমএমইউ) তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে বলেছে আদালত।
পরে সাংবাদিকদের খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এই আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ। আদালতের উচিত ছিল আমাদের আবেদনটি মানবিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন আদালতের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর শুনানি শুরু হয়।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান খান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও তার জামিন চেয়ে করা দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার চিকিৎসাসংক্রান্ত তিন তথ্য জানতে চায়। আদালতের আদেশে বলা হয়, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়া অ্যাডভান্স চিকিৎসার জন্য সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিলে সেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না এবং শুরু হয়ে থাকলে সবশেষ অবস্থা কী, তা বিএসএমএমইউ উপাচার্যকে কোনো রকম ব্যর্থতা ছাড়াই বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জানাতে হবে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করে আদালত।
দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে গত এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। সাজা বাতিল চেয়ে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে করা খালেদার জিয়ার আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এ মামলায় গত বছরের ৩১ জুলাই তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। পরে ওই আদেশ বাতিল ও জামিন চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করলে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর সে আবেদনটিও খারিজ হয়ে যায়।
এরপর দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা ও থেরাপির আর্জি জানিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে ফের হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা বলছেন, কারামুক্তি পেতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পাশাপাশি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাতেও তাকে জামিন পেতে হবে।
গত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এরপর সাজা থেকে খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের আপিল ও সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তারা সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়। এই সাজা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল সর্বোচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd