সিলেট ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া টাকার জোড়ে নেতৃত্বের পদ বাগিয়ে নেন। নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ৩ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন তিনি। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এ কাজে তার বাজেট ছিল ১০ কোটি টাকা। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সূত্র। এছাড়া বিভিন্নজনের কাছে ‘নারী সরবরাহকারী’ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন পাপিয়া।
সূত্র জানায়, ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তাঁর স্বামী সুমন চৌধুরী অনেক তথ্য দিচ্ছেন। তাঁদের কখনো আলাদাভাবে, কখনো দুজনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে তাঁদের দুই সহযোগী সাব্বির ও তায়্যিবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। পাপিয়া ও সুমন চৌধুরীর অপরাধ জগত সম্পর্কে তায়্যিবা ডিবিকে জানিয়েছেন, অনেক সময় চাহিদামতো থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ভুটান ও রাশিয়া থেকে মেয়েদের নিয়ে আসা হতো। পার্বত্য অঞ্চল থেকেও পাহাড়ি মেয়েদের নিয়ে আসতেন পাপিয়া।
পাপিয়ার অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলার মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল শনিবার বলেছেন, ‘পাপিয়ার পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁরাও নজরদারিতে রয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘শুধু পাপিয়া নয়, অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের সঙ্গে যাঁরাই জড়িত, তাঁরা নজরদারিতে আছেন। টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেতা শামিমা নূর পাপিয়ার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দল বিব্রত। শুধু পাপিয়া নয়, দুষ্কৃতকারীদের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd