সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০
বাবর হোসেন :: আজ থেকে বেশ কয়েক মাস আগে সিলেট জজ কোর্ট মসজিদে আসরের ফরজ নামাজের ঠিক আগ মুহূর্তে যখন দেখেছিলাম মূর্তি পূজার র্যালীর সামনের কাতারে দাঁড়িওয়ালা মুসলমানরাও ঢাক ঢোলের বাজনার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তখনই মনে হচ্ছিল আল্লাহর গজব নাযিল হবার আর বেশি দেরি নেই হয়তো। আল্লাহর গজবকে তো অনেকে দুনিয়াদারীর ক্ষমতার দম্বে গজব বলতেও নারাজ।
আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগে মূর্তি পূজারীদের আস্ফালন থামানোর জন্য রাব্বুল আলামিন আবাবিল পাখির মাধ্যমে চানার দানার মতো বস্তু দিয়ে নাফরমানদের শাস্তি দিয়েছিলেন। আর বর্তমান সময়ে অদৃশ্য ভাইরাস দিয়ে তাবত পৃথিবীর মানবকুলকে কি করতে চাচ্ছেন তা তিনি নিজেই জানেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তওবা করার জন্য কেউ বলে না, বলে মোকাবেলা করতে হবে, এখন আল্লাহর প্রদত্ত গজবকে যদি কেউ মোকাবেলা করার সাহস দেখায়, তার পরিনতির জন্য সে নিজেই দায়ী।
আমরা এখন মূর্তিপূজার পৃষ্ঠপোষক, মসজিদে নামাজ হচ্ছে, পাশের সড়ক দিয়ে মূর্তিপূজার র্যালী যাচ্ছে ডাকঢোল পিটিয়ে, উলঙ্গ নৃত্যের তালে তালে মাইকে গান বাজছে, তাতে আপত্তি করার সাহস কারো নেই। আর কোনদিন হবে বলেও মনে হচ্ছে না। এ ধরনের এক পরিস্থিতিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এক দাড়িওয়ালা ইন্সপেক্টর কে প্রশ্ন করেছিলাম,আপনি না মুসলমান ?
উত্তরে তিনি বলেছিলেন,এখন সময় তাদের। হয়তো আমাদের ভাগ্য ভালো, ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে বরাতের রাতে আতশবাজির শব্দে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিরক্ত হবেন না। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ নববর্ষের উছিলায় রাস্তায় রাস্তায় উলঙ্গ নৃত্য গান বাজনার রং ছিটানো যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। বর্ষবরণের নামে বেহায়াপনা এবং আল্লাহর নাফরমানীর কারণে হয়তো আজ মানব জাতির উপর আল্লাহর গজব নাজিল হয়ে গেছে। সিলেটের প্রখ্যাত আলেম মরহুম হরমুজ আলী মেয়া সাহেবের নাতি মাওলানা ফয়েজ আহমদ করোনাকে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘ক’ দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করা ‘রো’ দিয়ে রোজা রাখা এবং ‘না’ দিয়ে নামাজ পড়া।
তাই বলি এখনো সময় আছে মূর্তিপূজার পৃষ্ঠপোষকতা পরিহার করুন। মাসুম বাচ্চাদের মতো পিরু মিয়ার বংশধরদের কাছে হাত না পেতে আল্লাহর কাছে হাত পাতার অভ্যাস করুন। দেখেন আল্লাহ চাইলে কিনা করতে পারেন। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকা দরে চাল খাওয়াবেন। গত ১২ বছরেও শেখ হাসিনার পক্ষে চাউলের মূল্য ১০ টাকা নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। আল্লাহর গজব করোনা ভাইরাস জনিত মহা-বিপদ কালীন সময়ে সরকার টিসিবির মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাউল মানুষকে দিতে পারছে। নিশ্চয়ই শেখ হাসিনা সেদিন ওয়াদা টি করেছিলেন খালিস নিয়তে। তাই আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন সেই খালিস নিয়তে করা ওয়াদা তাঁকে দিয়েই রক্ষা করিয়েছেন। তাই বলি ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এ কথাটি বলে আল্লাহর নাফরমানী কাজকে আর উৎসাহিত করবেন না দয়া করে। বি:দ্র: মুক্তমত লেখাটি একান্তই লেখকের মত পোষণ সিলেটপ্রেসবিডিডটকম এর দায় বদ্ধ নয়
লেখক
বাবর হোসেন
নির্বাহী সম্পাদক -সাপ্তাহিক বাংলার বারুদ,
সভাপতি সিলেট সিটি প্রেসক্লাব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd