সিলেট ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীরা বিদ্রোহ বিক্ষোভ করেছেন।১৫ এপ্রিল বুধবার সকাল সোয়া ৯ টায় থেকে এ প্রতিবাদী বিক্ষোভ শুরু করেন বন্দীরা। বন্দীরা খাবার বয়কট করেছেন। নিম্নমানের খাবার ও আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকার প্রতিবাদে বন্দীরা এ বয়কট বিক্ষোভ করছেন বলে সুত্র জানায়। অতিরিক্ত কারাপুলিশ ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সিলেট কারাগারের বিশেষ সুত্র জানায়, প্রতিদিনের মত সকাল ৯টার দিকে কারাগারে খাবার পরিবেশন শুরু হয়। এসময় বন্দীরা প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অধিকাংশ বন্দী খাবারের বাটি উল্টিয়ে রেখে প্রতিবাদ জানান। তাঁরা খাবার গ্রহণে অস্বীকিৃতি জানান। কর্তৃপক্ষ বন্দীদের নিয়ন্ত্রেণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু বন্দীরা কোন অবস্থায় নমনীয় হননি। কারারীতির প্রতিবাদের ভাষা খাবার বয়কট তারা করবেন এমনটাই জানান। একপর্যায়ে ‘পাগলাঘন্টা’ বাজিয়ে বন্দীদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে লকআপ করা হয়। এমনটাই জানায় সুত্র। সুত্র বলছে, অতিরিক্ত কারা পুলিশ ডেকে আনা হয়। কারাগারে সাধারণত বিকেল ৫ টায় ওয়ার্ডে লকআপ করা হয়। কিন্তু আজ সাড়ে ১০ টার মধ্যেই লকআপ করা হয়েছে।
বন্দীদের কেন এই বিক্ষোভ প্রতিবাদ । এ প্রসংগে সুত্র জানায়, সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে নানা অনিয়ম বিদ্যমান। সবচেয়ে ভয়াবহ খাবারের মান। অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয় বন্দীদের। সম্প্রতি সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর এ মান আরো নীচে নামে। যা রীতিমত অমানবিক। যা বন্দীরা মেনে নিতে পারছেন না।
এর সাথে আদালত কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বন্দীরা। লঘু ও জামিনযোগ্য মামলার কার্যক্রম চালু রাখার দাবী বন্দীদের। এ দাবী জানানোর ভাষা হিসেবেই তারা খাবার বয়কট করেছেন বলে সুত্র জানায়।
কারা অভ্যন্তরে এই যখন অবস্থা তখন কারা কর্তৃপক্ষ কি বলছে? তাঁরা বলছেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এসব গুজব। সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারের জেলার বলেন, ““আমি তো অফিসেই আছি। এমন কিছু ঘটলে তো আমি জানার কথা। না, এমন কোন কিছু ঘটেনি। এসব গুজব।”
প্রসঙ্গত: সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সব ধরণের সাক্ষাত বন্ধ রয়েছে। মুল ফটক বন্ধ করে দেয়া হযেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd