জৈন্তাপুরে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগীকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণ, ২৩টি বাড়ি লকডাউন

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২০

জৈন্তাপুরে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগীকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণ, ২৩টি বাড়ি লকডাউন

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুরে এই প্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত রোগী উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের সারিঘাট সরুফৌদ গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন (৩২) সে পেশায় একজন ট্রাক চালক।

জৈন্তাপুরে করোনায় আক্রান্ত সেই রোগীকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে তার পরিবারের তিন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের আরও ২৩টি বাড়িকে লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তি একজন পরিবহন শ্রমিক, তিনি বেশ কয়েক দিন থেকে ট্রাক দিয়ে সিলেট থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ মালামাল পরিবহন করে আসছিল, গত ১০ এপ্রিল তার বাড়ীতে আসার পর লোকজনের মধ্যমে সংবাদ পেয়ে বসত ঘরটি লকডাউন করা হয় এবং ১৩ এপ্রিল মেডিকেল টিম তাহার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। পরে তার নমুনা সিলেটে প্রেরণ করা হলে ১৬ এপ্রিল সিলেট থেকে প্রেরিত রিপোর্টে তার শরীরের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম ঐ ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে মেডিকেল টিমের মাধ্যমে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা ভাইরাস ইউনিটের আইসোলেশন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল হক সরকার বলেন, আমাদের কাছে ঐ ব্যক্তির পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। সাথে সাথে তার বাড়িটি সহ আশ পাশের ২৩টি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই বিষয়টি নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির এলাকাটি লকডাউন করে দিয়ে এসেছি। এখন থেকে অন্য কোন জেলা থেকে জৈন্তাপুরে উপজেলায় প্রবেশ করলেই তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে পৃথক থাকতে বলা হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..