সিলেট ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা ফলিক চৌধরীর লেলিয়ে দেয়া একদল সন্ত্রাসীর অব্যাহত হুমকিতে দক্ষিন সুরমায় সাংবাদিক বাবর হোসেনের পরিবার- পরিজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। সাংবাদিক বাবর হোসেন সিলেট সির্টি প্রেসক্লাবের সভাপতি দক্ষিন সুরমা জার্নালিস্ট ক্লাবের উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক বাংলার বারুদের নির্বাহী সম্পাদক।
জানা যায় প্রায় দেড়- যুগ আগে ১৮৬ নং দাগের ভূমির একটি সত্ত মামলার এক তরফা রায়ে সাংবাদিক বাবর হোসেনের বাড়ীর সাড়ে ৭ শতক ভুমি মুছারগাওঁর বাদশা ও তার বোন মিনারা বেগমের স্বামী অবসর প্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট বারখলা গ্রামের শওকত আলীকে সমজিয়ে দেয় আদালত। সে সময় বাবর হোসেনের পিতা পঈু অবস্থায়ে মৃত্যু পথযাএী ছিলেন। আদালত কৃতক ভুমি সমজিয়ে দেয়ার পর মুছারগাওঁর জনৈক জামাল উদ্দিন লন এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। বাবর হোসেনের অসুস্থ্য পিতার টিপ সই নিয়ে এক তরফা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য জামাল উদ্দিন লনকে আমোক্তার নিয়োজিত করা হয়। আমোক্তার নামা বলে সে বাবর হোসেনের পিতার পক্ষে আপিল করে এক তরফা রায়ের আর্দেশ সৃগিত করায়। অপর দিকে উক্ত জামাল উদ্দিন লন বাবর হোসেনের ছোট ভাই সোহেল আহমদকে অন্য একটি মামলায় জড়িত করে গ্রেফতার করিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।
সুহেল জেল হাজতে থাকাবস্থায় আমোক্তার জামাল উদ্দিন লন গোপনে সাড়ে, ৭ শতক ভুমি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা নভাগীর ফলিক চৌধুরীর কাছে বিক্রি করে দেয়। সুহেল জেল হাজতে থাকাবস্থায় ফলিক চৌধুরীর স্ত্রীর ভাই কায়েস্তরাইলের জুনেদ সহ অপরাপর লোকজন ভূমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে।
ফলিক চৌধুরী ভূমিটি ক্রয়ের সময় সাংবাদিক বাবর হোসেনের পরিবারকে কিছুই জিজ্ঞাসা করেননি। উল্টো তার স্ত্রীর ভাই জুনেদ বাদী হয়ে সেসময় কোতোয়ালি থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয় । সেই মামলায় বাবর হোসেন সহ তার অপরাপর ভাইকেও আসামি করা হয়েছিল ।
সাম্প্রতিক কালে উক্ত বিরোধীয় ভূমির মাঠ পর্চা ফলিক চৌধুরীর নামে পাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে জুনেদ ও তার ভাগ্নে আলাউর রহমান রুমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে শুরু করে। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর তারা একদল সন্ত্রাসী নিয়ে কায়েস্তরাইল থেকে মুছারগাঁও বাইপাস রোডে গিয়ে বাবর হোসেনের ভাই সুহেলের উপর হামলা চালায়।
এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী কয়েকজন সোহেলকে রক্ষা করে । পরবর্তীতে দেখা যায় রক্ষাকারী তিনজনসহ সোহেলকে উল্টো আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের ও রেকর্ড করা হয়। (মামলা নং ৪(১২)১৯পুরনো মামলায় স্থগিতা দেশ বাতিল হবার পর প্রথম ডিগ্রি বহাল থাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট শওকত আলি বিরোধীয় ভূমি বিক্রির জন্য মোমিনখলা গ্রামের জনৈক তাজুল ইসলামের সাথে বায়নানামা রেজিস্টারি করেন। সেই বায়নানামার বলে শওকত আলী ও তাজুল ইসলামের লোকজন গত ১৮ এপ্রিল সকালে ভূমি দখল নিয়ে সেখানে থাকা ভাড়াটিদের চলে যাওয়ার জন্য বলে। ভাড়াটে সামসু মিয়া ও তার স্ত্রী আছমা বেগম তাদের জিনিসপত্র নিয়ে অন্যএ যাওয়ার সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চোখে পড়লে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন সহ ঘটনাস্থলে পৌছেন । খবর পেয়ে আদালতের ডিগ্রি মোতাবেক মূল মালিক পক্ষ অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট শওকত আলী সেখানে উপস্থিত হন। তখন সেনা অফিসার চলমান লকডাউন চলাকালীন সময়ে পর্যন্ত তাদের ঘরে থাকতে দেওয়ার জন্য বললে তা মেনে নেওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিক বাবর হোসেনও উপস্থিত ছিলেন ।
পরবর্তীতে উও ঘটনাকেও পূর্জি করে ভাড়াঠে আছমা বেগম বাদী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলায়ও বাবর হোসেনের ভাই সুহেল সহ তার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে ( মামলা নং ৪(৪)২০) গত ২০ এপ্রিল বিকেলেও ফলিক চৌধরীর লেলিয়ে দেয়া সন্তাসীরা সাংবাদিক বাবর হোসেনের বাড়ীতে অনু প্রবেশের চেষ্টা করলে তার ভাই সুহেল বাধা দিতে গেলে ধাওয়া -পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয় । এ ব্যাপারে সাংবাদিক বাবর হোসেন জানান যে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা ফলিক চৌধুরীর লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির মুখে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ।বাবর হোসেন জানান, যেকোনো সময় বসতবাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা করতে পারে ।তিনি বলেন বিষয়টি দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কে অবগত করা হলে তিনি উল্টো তার ভাই সোহেলকে দোষারোপ করেন । সাংবাদিক বাবর হোসেন আরো অভিযোগ করেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মামলা রেকর্ড এর সময় ওসি খায়রুল ফজল তাঁকে জানিয়েছিলেন সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী এসএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের চাপ সৃষ্টি করেছিলেন বাবর হোসেন ও তাঁর ভাইয়ের বিপক্ষে। এছাড়া এসএমপির উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা ফলিক চৌধুরীর লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের আত্মীয় হবার কারণে তার নাম ব্যবহার করে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের অপত্যপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
চলমান পরিস্থিতিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীন সাংবাদিক বাবর হোসেন এসএমপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং সিলেটের সাংবাদিক সমাজের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd