সিলেট ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে এক নব্য চৌধুরী স্বচ্ছল পরিবার নিচ্ছেন সরকারী ভাতা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের বড়চাল গ্রামের মৃত. রিয়াসদ আলী ছেলে আসমত আলী, ইজ্জাদ আলী, সাজ্জাদ আলী, আজাদ আলী ও তাদের পরিবারের লোকজন বেশ কিছু দিন যাবৎ নামের শেষে চৌধুরী যুক্ত করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ তাদের পিতা বা দাদার নামীয় পর্সা ও দলিলে নামের শেষে চৌধুরী নেই। বর্তমান পর্সা ও দলিলে ওই পরিবার তাদের নামের শেষে চৌধুরী যুক্ত করছেন। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও অনুষ্টিত হয়। সালিশ বৈঠকে কোন সুরাহা হয়নি।
এদিকে নব্য চৌধুরী সেজে ওই স্বচ্ছল পরিবার সরকারী ভাতা ও ত্রান গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। আসমত আলী, সাজ্জাদ আলী, আজাদ আলী প্রবাসে থাকার পরও এই স্বচ্ছল পরিবার স্থানীয় এক ইউপি সদস্যার সহযোগীতায় দেশে অবস্থানরত ইজ্জাদ আলী সরকারী ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিদা ভোগ করছেন। অভিযোগ রয়েছে সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে ত্রানের তালিকায় ইউপি সদস্যা আসনা বেগম স্বজন প্রীতির মাধ্যমে নিজের আত্মীয় স্বজন ও একই পরিবারে একাধিক নাম, আর্থিকভাবে স্বচ্ছলদের নাম তালিকায় করেছেন। ফলে ত্রাণ তালিকা ও প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অসহায় হতদরিদ্র মানুষ।
এ বিষয়ে বানারশী গ্রামের সাজিদ আলী বলেন, তারা চৌধুরী বংশের না। এখন তাদের টাকা হয়েছে তাই নামের শেষে চৌধুরী যুক্ত করে দিয়েছে। চৌধুরী নাম যুক্ত করার দিন তারা একটি খাসি রান্না করে খাবায়। ওই দিন আমি ছিলাম। তিনি আরো বলেন, সাজ্জাদ আলীর বিয়ের সময় কাবিনে চৌধুরী যুক্ত করায় গ্রামের লোকজন কাবিন ছিড়ে ফেলেছিলেন।
দশঘর গ্রামের আসাবুর রহমান বলেন, তারা ২-৩ বছর হয় নামের শেষে চৌধুরী যুক্ত করেছে। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক শালিস বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। বর্তমানে তারা গ্রামে আলাদা মসজিদও নির্মান করছে। বড়চাল গ্রামের ইজ্জাদ আলী বলেন, আমরা বংশগত চৌধুরী। ইউপি সদস্যা আসনা বেগমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিব করেননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd