সিলেটের পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান,করোনাপরিস্থিতি সবকিছু স্থবির হয়ে যাওয়ায় শুরু থেকেই পুলিশ সাধ্যমত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ফোন কলে আবেদনের প্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধ্যমত যতদিন সম্ভব তারা এ সেবা দিয়ে যাবেন।
১২ এপ্রিল পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে এবং একটা হট লাইন নাম্বার দিয়ে ফোন কলের ভিত্তিতে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার কে খাদ্য সাহায্যের ঘোষণা দেন পুলিশ সুপার ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের সদস্যরা শুধুমাত্র ফোনকলের ভিত্তিতেই প্রায় ৩ হাজার পরিবারকে নীরবে নিভৃতে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম রমজানে প্রত্যেক থানায় ১৫০ প্যাকেট করে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন পুলিশ সুপার । প্রাপ্ত ফোনগুলো যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিকট বা পরিবারের নিকট থানা পুলিশের সদস্যরা কখনো মাথায় করে, কখনো নৌকাযোগে, কখনো মোটরসাইকেল যোগে ,কখনো পায়ে হেঁটে ,কখনো সিএনজিযোগে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। জেলা পুলিশের এমন মানবিক কর্মকাণ্ডে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলেন পুলিশের এমন মানবিকতা ইতিপূর্বে তারা কখনো দেখেননি পুলিশের এমন মানবিক আচরণ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।