সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২০
কে. এ. রাহাত :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তা পূর্বরাজ মহবুবুল আম্বিয়া চৌধুরী মেমোরিয়াল নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ এবং এমপিও আবেদনে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ উত্থাপন করে অভিযোগ দায়ের।
অভিযোগ সূত্রে যানাযায়, এলাকাবাসী উদ্যোগে ১৯৯৮ইংরেজীতে জৈন্তা পূর্বরাজ লালাখাল হাইস্কুল নামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয় নাম পরিবর্তন করে জৈন্তা পূর্বরাজ মহবুবুল আম্বিয়া চৌধুরী মেমোরিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক করা হয়। অভিযোগকারী অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম আহমদ ১১ জুন ২০২০ ইংরেজী বাদি হয়ে উপ-পরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেটের বরাবরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ সহ এমপিও ভূক্তিতে শিক্ষকদের নিকট হতে অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয় ০৯ ডিসেম্বর ২০০৩ সনে দৈনিক জালালাবাদ এবং দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করেন। প্রকৃত পক্ষে ২০০৩ সনের ৯ ডিসেম্বরের দৈনিক জালালাবাদ এবং দৈনিক ইনকিলাব মূল কপিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের কোন বিজ্ঞাপন ছাপা হয়নি বরং জালিয়াতির মাধ্যমে পত্রিকার বিজ্ঞাপন তৈরী করা হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন ২০১৮ সনে নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভ করেন, কিন্তু বিদ্যালয়ের এমপিও ভূক্তির জন্য আবেদনে তিনি ২০ ডিসেম্বর ২০০৩ সনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজি প্রতিনিধির স্বাক্ষর জ্বাল করে ভূয়া নিয়োগ কাগজপত্র দাখিল করেন। অতচ প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ২০১৩ সন পর্যন্ত বিয়াম কুদরত উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন যাহার তথ্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিদ্যমান রয়েছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে যানাযায়, বিদ্যালয়ের নিয়োগে নানা অনিয়ম ও দূনিতি চিত্র ফুটে উঠার পরও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস তথ্য যাচাই বাছাই না করে এমপিও’র জন্য উদ্বোতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে সুপারিশ করে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ নিয়মিত শিক্ষক ও অফিস সহকারী পদে মোট ৬জন আবেদন করে। ২শিক্ষক সহ ১জন অফিস সহকারী কাগজপত্রে ত্রæটি দেখিয়ে ফাইল ফেরত পাঠালে বিষয়টি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। এনিয়ে উপজেলার সর্বত্র আলোচনা সমলোচনার ঝড় বইছে।
এবিষয়ে একাধিকবা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেনি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সুলাইমান হোসাইন নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, পত্রিকায় ছাপানো বিজ্ঞাপনটি নকল তা স্ক্যানিং কপিতে বুঝার কথা নয়। যদি মূল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন না থাকে তাহলে এমপিও আবেদন বাতিল বলিয়া গন্য করা হবে বলে তিনি জানান। তারপরেও বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানায় আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd