সিলেট ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন বেপারীর বক্তব্যকে অসংলগ্ন বলে মন্তব্য করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। উদ্ধারের পর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন সুমন। সেখান থেকেই গতকাল বুধবার (১ জুলাই) তদন্ত কমিটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন সুমন।
তদন্ত-সংশ্নিষ্ট একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, সুমনের বক্তব্য কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধরে রেকর্ড করা হয়েছে। সুমন বলেছেন, তিনি লঞ্চে ঘুমিয়ে ছিলেন। ডুবে যাওয়ার বিষয়টি তার মনে পড়ছে না। উদ্ধারের পর সবকিছু জানতে পারেন।
তিনি বলেন, ভেতরে হাঁটুপানি ছিল। পুরো রুমটা অন্ধকার ছিল। তার জ্ঞান ছিল না। ডুবে যাওয়ার সময় তার পেটেও পানি চলে যায়।
তদন্ত কমিটির প্রধান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম সুমনের বক্তব্য নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে বলেন, ১৩ ঘণ্টা ধরে ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভেতরে তিনি কীভাবে থাকলেন, তার বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়নি। সংশ্নিষ্ট অনেকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য বলেন, সুমন ইঞ্জিন রুমে আটকা পড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। একবার বলেছেন, ভেতরে অন্য কাউকে দেখেননি। পরক্ষণেই আবার বলেছেন, ভেতরে লাশ দেখা গেছে। তার বক্তব্য অসংলগ্ন মনে হয়েছে। তার আরও বক্তব্য নেয়া হবে। তিনি কিছুটা অসুস্থ। সুস্থ হলে প্রয়োজনে সরাসরি কথা বলা হবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না।
গত সোমবার সকালে মর্নিং বার্ড নামের ছোট আকারের একটি লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের অদূরে ময়ূর-২ নামের বিশাল একটি লঞ্চের ধাক্কায় মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই ডুবে যায়। এরপর মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাতে লঞ্চটি টেনে তোলার সময় সুমন বেপারীকে জীবিত উদ্ধারের কথা বলা হয়। লঞ্চটি তোলা সম্ভব না হলেও উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd