রূপা হত্যার মামলার রায় কার্যকরের দাবি স্বজনদের

প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২০

রূপা হত্যার মামলার রায় কার্যকরের দাবি স্বজনদের

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মেধাবী শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রূপা হত্যার তিন বছরেরও মামলার রায় কার্যকর হয়নি। এতে রূপার পরিবার ও স্বজনরা চরম হতাশা প্রকাশ করেছে।

রুপার মা হাসনাহেনা বেগম বলেন, ‘রুপা ভাই-বোনদের জন্য সবকিছু করার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করত। স্বপ্ন দেখতো, উচ্চ শিক্ষিত হয়ে একদিন বড় কর্মকর্তা হবে। এখন আমাদের একটাই দাবি, দ্রুত আসামিদের বিচারের রায় কার্যকর করা হোক।’

মামলার বাদী রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। এরপর গত ১৯ মাসেও চাঞ্চল্যকর এ মামলায় শুনানি শুরু হয়নি। নিম্ন আদালতে দ্রুততম সময়ে মামলার রায় ঘোষণায় আমরা সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। কিন্তু উচ্চ আদালতে আসামিদের আপিলের পর মামলাটি গত তিন বছর ঝুলে থাকায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।‘

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি পরিবারকে দেওয়ার যে আদেশ আদালত দিয়েছেন, তাও কার্যকর হয়নি। বিচারের সর্বশেষ পর্যায়ে যেতে কতদিন সময় লাগবে তা আমাদের জানা নেই। ততদিনে হয়তো বাসটি ভাঙাড়ি হিসেবে বিক্রি করতে হবে। এতে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশাও ক্ষীণ। তিন বছর ধরে অপেক্ষায় আছি আমার বোনের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখার জন্য।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে তাড়াশ উপজেলার আসামবাড়ি গ্রামের জেলহাজ প্রামাণিকের মেয়ে রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে মধুপুর থানা পুলিশ রুপার লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পরিচয় না পেয়ে ২৬ আগস্ট ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। এরপর ২৭ আগস্ট নিহতের বড়ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখে তার ছোট বোন বলে শনাক্ত করেন। রুপা ঢাকা আইডিয়াল ল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে ৩১ আগস্ট রুপার লাশ কবর থেকে উঠিয়ে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই রাতেই আসামবাড়ি গ্রামের কবরস্থানে রুপার লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় টাঈাইল জেলা আদালতে রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার পরিবহণ শ্রমিক দোষী সাব্যস্থ হয়। আদালত তাদের ফাঁসি ও রূপার পরিবারকে বাসটি দিয়ে দেওয়ার রায় ঘোষণা করেন। এরপর মামলার আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। সেই থেকে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন তারিখ ধার্য না হওয়ায় মামলাটি হাইকোর্টে ঝুলে আছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..