সিলেট ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
বিগত ২৬-০৮-২০ ইং হইতে ০৯-০৯-২০ ইং পর্যন্ত বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ‘গোয়াইনঘাটে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি আত্নসাৎ’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয় এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দলিলকৃত রেকর্ডপ্রাপ্ত বর্তমান দখলীয় নুর ইসলাম গং মালিকগন।
প্রতিবাদে জানা যায়, বিগত ১২-১১-২০০৭ ইং তারিখে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭ নং নন্দিরগাঁও সালুটিকর মৌজায় ০৪ শতক ভূমি খরিদ করেন। নূর ইসলাম পিতা মৃত আঃ রশিদ সাং রানীগঞ্জ, আঃ নূর পিতা মৃতঃ শুকুর উল্লাহ সাং আঙ্গাজুর, জয়নাল আবদিন পিতা শামছুল ইসলাম সাং লামাপাড়া ও শেখ আরিফ মাহমুদ শাহীন পিতা মৃতঃ শেখ মাহমুদ আলী সাং মিত্রিমহল। দলিল নং ৪৩১৯/২০০৭।দলিল সম্পাদনে সাক্ষী ছিলেন, বিলাল আহমদ পিতা শামছুল ইসলাম সাং লামাপাড়া বাচ্চু দাস পিতা খোকা রঞ্জন দাস সাং চারছিরা ছাতক ও দলিল লিখক ছিলেন, মাহমুদ হোসেইন সনদ নং-১৫ গোয়াইনঘাট সাবরেজিস্টারী অফিস। দলিল গ্রহিতা গন ২০০৮ সালে ৬১ ধারা আপীল করে উক্ত দলিলের ০৪ শতক ভূমি রেকর্ড প্রাপ্ত হন এবং এই বি.এস রেকর্ড এখন ও বিদ্যমান আছে। বি.এস রেকর্ডে নাম প্রকাশিত হওয়ার পর চারজন দলিল গ্রহীতা সালুটিকর এলাকার কুখ্যাত ভূমিখোকে বিশিষ্ট জামায়াত নেতা আঃ মুহিত (মাসুদ) পিতা মৃতঃ মনোহর আলী সাং বহর এর রোষানলে পড়েন। তিনি বিভিন্নভাবে দলিল গ্রহীতাগণকে হুমকি ও মামলার ভয় দেখিয়ে ০৪ শতক জমি দখল নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
২০০৯ সালে আঃ মুহিত দলিল গ্রহীতা নূর ইসলামের বর্ণিত রেকর্ডীয় ভূমির উপর নির্মিত একটি টং দোকান রাতের অন্ধকারে লোকজন দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন ভূমিখেকো আঃ মুহিত মাসুদ। এ ঘটনায় নূর ইসলাম বাদী হয়ে আঃ মুহিত (মাসুদ) ও আঃ মন্নান উভয় পিতা মৃত মনোহর আলী সাং বহরসহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলাদায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন সময়ে আসামী আঃ মুহিত(মাসুদ) ও তার ভাই আঃ মন্নান স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য মুরব্বিয়ান গনের সহযোগীতা নেন এবং সালিশ শুরু হয়। সালিশ আলোচনা চলমান রেখে তারা সহকারী আদালত গোয়াইনঘাট এ বাদী হয়ে স্বত্ব মামলা ২১৫/২০০৭ দায়ের করেন। উল্লেখিত স্বত্ব মামলার বাদী আঃ মুহিত ও আঃ মন্নান দাবি করেন যে, শেখ শাহীন আহমদ, নূর ইসলাম, আঃ নূর, জয়নাল আবেদিন ৪৬১৯/২০০৭ নং কবালায় যে ০৪ শতক জমি খরিদ করেন তা যোগাযোগী ও সম্পূর্ণ অবৈধ। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানির পর ১৪/০৮/২০১১ ইং তারিখে রায় প্রকাশ করেন এবং রায়ে ৪৩১৯/২০০৭ নং দলিলটি বৈধ ঘোষনা ও নূর ইসলাম এর স্বত্ব বহাল রাখেন।
একসময় দাড়িপাল্লা নিয়ে জামায়াতের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারী আঃ মন্নান ও তার ভাই আঃ মুহিত (মাসুদ) ২০১১ সালে ৩০/২০১১ নং স্বত্বে মামলা দায়ের করেন, এই মামলার বাদী আঃ মন্নান ও তার ভাই আঃ মুহিত (মাসুদ)
নূর ইসলাম গং দের দখল উচ্ছেদ ও স্বত্ব ঘোষনার দাবী জানান, মামলাটি এখনো বিচারাধীন। উল্লেখিত স্বত্ব মামলা বিচারাধীন রেখে আঃ মুহিত (মাসুদ) ও তার ভাই ২০১৮ ইং সালে মাননীয় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ৭৫৮/১৮ নং মামলার বাদী গণ স্বত্ব মামলা ২১৫/২০০৯ এবং স্বত্ব মামলা ৩০/২০১১ উল্লেখ করেন। কিন্তু ভূমি খেকো, মামলা বাজ সালুটিকর এলাকার ত্রাস জামায়াত নেতা আঃ মন্নান ও তার ভাই আঃ মুহিত (মাসুদ) নূর ইসলাম গং এর ০৪ শতক জমি আত্নসাৎ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। কারন এই ০৪ শতক ভূমি বিগত বি.এস জরিপে সালুটিকর মৌজার ৮৩২ নং দাগে নূর ইসলাম গং দের নামে রেকর্ড হয়। কিন্তু ধূ্র্ত জামায়াত নেতা আঃ মুহিত (মাসুদ) পার্শ্ববর্তী চেঙ্গেরখাল নদী পাড়ে ৮৩৩ নং দাগে পিয়াইনগুলকলিমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডকৃত ১৩ শতক ভূমি ও সরকারী খাস জমি দখল করে বালু মজুত করেন। এখানে তার বালু বহনকারী গাড়ী গুলো মেইন রাস্তায় উঠার একমাত্র পথ হলো নূর ইসলাম গং দের ৮৩২ নং দাগের ০৪ শতক ভূমি। তাছাড়া তার বালুর সাইডে গাড়ি আসা যাওয়ার আর কোন রাস্তা না থাকায় তিনি দীর্ঘ দিন থেকে নূর ইসলাম গং দের বিরুদ্ধে মামলা-মোকাদ্দমার পাশাপাশি আপোষ নিস্পত্তির চেষ্টা করেন এবং কিছু টাকার বিনিময়ে ০৪ শতক ভূমি তার নামে লিখে দেয়ার অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য যে, নূর ইসলাম গং দের এই ০৪ শতক জমি ওয়ার্কশপ এবং অন্যান্য মালামাল স্টকের কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় কোন ভাবেই জমিটুকু জামায়াত নেতাকে আপোষ দিতে অস্বীকৃতি জানান। সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কুখ্যাত জামায়াত নেতা আঃ মুহিত (মাসুদ) অতিতের সকল তথ্য গোপন রেখে বিগত ১২-০৮-২০ ইং তারিখে মাননীয় আমল গ্রহনকারী আদালতে ৯৯/২০২০ নং সি.আর মামলা দায়ের করেন এবং এই মামলায় তিনি ৪৩১৯/০৭ নং দলিলটি জাল উল্লেখ করে এবং দলিল গ্রহীতা ০৪ জন, সাক্ষী ০২, দলিল দাতা ০১ জন ও দলিল লিখক ০১ সহ মোট ০৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। বাদী আঃ মুহিত (মাসুদ) এজহারে জানান যে, বিগত ২০-০৫-২০ ইং তারিখে বিবাদী নূর ইসলাম সরজমিনে উপস্থিত হয়ে জানান যে, তিনি অজয় দাসের কাছ থেকে ০৪ শতক জমি খরিদ করিয়াছেন। এই কথা শুনে বাদী মাসুদ অবগত হন যে, নূর ইসলাম গং ৪৩১৯/০৭ নং দলিল সম্পাদন এবং জাবেদা নকল নিয়ে সি.আর মামলার এজহার দায়ের করেন। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে স্বত্ব মামলা করে আসা আঃ মুহিত (মাসুদ) কিভাবে তিনি উল্লেখিত দলিল সম্পর্কে অবগত নয়। সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে ০৪ শতক জমি আত্নসাতের লক্ষে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নূর ইসলাম গং এর দখল উচ্ছেদের লক্ষে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। গত ৯ তারিখ সিলেটের ১০ নং আমল গ্রহণকারী বিজ্ঞ আদালতে জমা দেওয়া কাগজপত্র তথ্য প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করে সকলের জামিন মঞ্জুর করেন। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd