বিশ্বনাথে ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে চাচা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২০

বিশ্বনাথে ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে চাচা গ্রেফতার

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ভাতিজিকে ধর্ষণ করেছে চাচা। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ-কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
সে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ফুলবাড়ী (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মৃতঃ মনফর আলীর পুত্র। আব্দুর রশিদ প্রায় ২ বছর ধরে বিশ্বনাথ পৌরশহরের বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামে বসবাস করে আসছে।
মামলার বাদী উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ সম্পর্কে ধর্ষিতার আপন চাচা। ভিকটিমের বাবা মারা যাওয়ার পর অভাবের সংসার হওয়ায় ২ বছর পূর্বে বিশ্বনাথ পৌরশহরের নতুনবাজারস্থ আরামবাগ আবাসিক এলাকায় ফুফুর ভাড়াটিয়া বাসায় (আক্তার মিয়ার) বাসায় বসবাস করে আসছেন এবং সেখান থেকে আল-হেরা শপিং সিটির তানহা টেনলার্সে কাজ শিখার জন্য ভর্তি হন।
অভিযুক্ত আব্দুর রশিদও বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় সপরিবারে বসবাস করে আসছিলো। আব্দুর রশিদের অচ্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার স্ত্রী প্রায় ৪ বছর পূর্বে বাপের বাড়ী চলে যান। প্রায় ৬ মাস থেকে ভিটটিমের প্রতি কু-নজর দেয় আব্দুর রশিদ।
প্রায় ২ মাস পূর্বে ভিকটিম যুবতী তার ভাইয়ের বিয়ের জন্য নিজ বাড়িতে চলে গেলে সেখানে আব্দুর রশিদও যান। বিয়ের পরের দিন সন্ধ্যায় একাপেয়ে যুবতিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আব্দুর রশিদ। লোকলজ্জার ভয়ে ভিটটিম এব্যাপারে পরিবারের কাউকে কিছু বলতে পারেনি।
পরবর্তীতে তিনি আবারও বিশ্বনাথে তার ফুফুর বাসায় চলে আসেন এবং টেনলার্সের কাজ করতে থাকেন। প্রায় সময় ফুফুর বাসা ও আল-হেরা শপিং সিটি মার্কেটে দেখা করে ভিটটিমকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি প্রদান করতে আব্দুর রশিদ। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ভিকটিমের ফুফুর বাসার যায় আব্দুর রশিদ। সেখানে রাতের খাওয়া শেষে রাত ১২ টার দিকে ভিকটিম যুবতীকে আব্দুর রশিদ ডেকে নিয়ে তার রুমে দরজা বন্দ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আব্দুর রশিদ।
এক পর্যায়ে ভিকটিমের ফুফু দরজায় ডাকাডাকি করলে বিছানা থেকে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে কান্নাকাটি শুরু করে ভিকটিম। এসময় ফুফুকে বিস্তারিত বলেন ভিকটিম। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘঁনাস্থ থেকে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদকে আটক করে ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) ভিকটিম যুবতী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। যার নং ১। মামলার পর আটককৃত আব্দুর রশিদকে গতকাল দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
মামলা দায়ের ও অভিযু কে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা বলেন, আটক আব্দুর রশীদকে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম যুবতিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2020
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..