সিলেট ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সহায়তাকারীদের শনাক্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডিএন্ডপিএস-১) রেজাউল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এআইজি (ক্রাইম অ্যানালাইসিস) মোহাম্মদ আয়ুবকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম, এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার মুনাদির ইসলাম চৌধুরী। তাদেরকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আকবরের পলাতক হওয়ার সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের দায় আছে কিনা তা তদন্ত করবে এই কমিটি। বুধবার সকাল থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরীর কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি লাশ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।
নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ফরেনসিক রিপোর্টে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd