এসএমপি পুলিশে শুদ্ধি অভিযানের বিকল্প নেই, ২০১৬ সালে পলিসি গ্রুপের সভার ৩ নাম্বার এজেন্ডা কি ছিলো?

প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২০

এসএমপি পুলিশে শুদ্ধি অভিযানের বিকল্প নেই, ২০১৬ সালে পলিসি গ্রুপের সভার ৩ নাম্বার এজেন্ডা কি ছিলো?

বাবর হোসেন :: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা (এসএমপি)তে জরুরি ভিত্তিতে শুদ্ধি অভিযানের প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ে অতি দ্রুত কার্যকর করার প্রদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরকে।

বিশেষ করে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বাড়ী এবং নানা অপতৎপরতায় জড়িত অফিসার থেকে কনেষ্টবল পর্যন্ত যারা দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে ফিরে এসএমপির বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত থেকে একের পর এক সামাজিক ও বিভাগীয় শৃংখলা ভংজনিত কাজের সাথে নিজেদেরকে জড়িত রেখেছে, তাদেরকে শনাক্ত করে জরুরী ভিত্তিতে এসএমপি থেকে কিংবা বৃহওর সিলেটের ৪ জেলার বাহিরে অন্য বিভাগ কিংবা জেলায় বদলী করার বিকল্প কিছু নেই চলমান পরিস্থিতিতে।

এছাড়াও পুলিশ সদর দপ্তরের সাবেক ডি আই জি প্রশাসন হাবিবুর রহমানের সময়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সরাসরি যাদেরকে এসএমপিতে পোষ্টিং দেয়া হয়েছিল তাদের ব্যাপারেও বদলী সংক্রান্ত প্রদক্ষেপ গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।অপর দিকে বৃহওর কুমিল্লা অঞ্চলে বাড়ী এমন পুলিশ সদস্য কিংবা অফিসার যারা দীর্ঘদিন যাবত এস এম পিতে কর্মরত আছেন,তাদের অনেকেই বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের নেপথ্য নায়কের ভুমিকায় থেকে পুলিশ বিভাগের সুনাম নষ্ট করা ছাড়াও অনৈতিক কার্যকলাপ সহ সামাজিক এবং বিভাগীয় শৃংখলা ভংমুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে বিশৃংখলা মুলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছেন।

এদের ব্যাপারেও পুলিশ সদর দপ্তর কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে চিন্থিত করন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্যত্র বদলীর ব্যবস্থা করার পরিস্থিতি বিরাজমান। বৃহত্তর সিলেট তথা মৌলবীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় বাড়ী এমন কিছু সাব ইন্সপেক্টর, সহকারী সাব ইন্সপেক্টর এবং কনেষ্টবল নিজেদের মধ্যে একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে এস এম পিতে বিভিন্ন ইউনিটে ঘুরে ফিরে পোষ্টিং নিয়ে যাচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। সিলেটী হিসাবে পরিচিত এসব পুলিশ সদস্যদের কাছে অনেক কিছু জিম্মি হয়ে আছে বলে অনুমিত হচ্চে। রায়হান হত্যা মামলায় টিটু নামের যে কনেষ্টবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে ১০ বছর যাবত বন্দর ফাঁড়ীতে থাকে কিভাবে? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে। কোতয়ালী মডেল থানার অনেক কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রন কারী হিসেবে চিন্থিত হয়ে আছে কনেষ্টবল রুবেল এবং ওসি,র গাড়ীচালক সুহেল।তাদের ক্ষমতার কাছে অনেক সময় সিনিয়র অফিসারকেও হার মানতে হয়।এলাকার সকল অপকর্মের ঠিকাদার হিসেবে উক্ত দুইজনের নাম শোনা যায়। যে কাষ্টঘর থেকে ঘটনার শুরু হয়েছে সেই কাষ্টঘর এলাকার ঝান্ডুমুন্ডু ও তীর জুয়ার বোর্ড গুলো কে টিকিয়ে রেখেছে। সার্কিট হাউস সংলগ্ন কালীঘাট চুনাপট্টিতে একটি পতিতালয়ের অনুমোদন দিয়েছিলো এস আই আকবর, বর্তমান সময় পর্যন্ত সেই পতিতালয়টি রুবেল ও সুহেলের শেল্টারে নিরাপদেই আছে বলে শোনা যায়। এস আই আকবর সাসপেন্ড হবার পর বন্দর ফাঁড়ীতে সাব ইন্সপেক্টর শাহীনকে পোস্টিং দেবার জন্য ৯ লাখ টাকার লেনদেন কে করেছিলো? তার উত্তর কি পাওয়া যাবে এস এম পি,র কেন্দ্রীয় আর ও খায়ের উদ্দিনের কাছ থেকে? এস আই আকবর কে বন্দর ফাঁড়ীতে পোষ্টিং দেয়ার জন্য ডি ও লেটার কে দিয়েছিলো। কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি গৌসুল হোসেন তার কর্মকালীন সময়ে বন্দর ফাঁড়ীর একজন এ এস আই সহ যে তিনজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিজেরা পকেটে মাদক রেখে নিরিহ মানুষকে মামলায় ফাসাঁনোর চেষ্টা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলেন ডিসি নর্থ অফিসে, সেই প্রতিবেদনের আলোকে অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো? উল্লেখ্য বৃহওর সিলেট অঞ্চলে বাড়ী এমন পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদেরকে এস এম পিতে পোষ্টিং না করা এবং যারা আছেন তাদেরকে অন্যত্র পোষ্টিং সংক্রান্ত ব্যাপারে ২০১৬ সালে এস এম পি থেকে একটি প্রস্তাবনা পুলিশ সদর দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছিলো।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বিষয়টি চুড়ান্ত করে আই জি অফিসের ২০৪৬ নং সিরিয়াল এর স্বারক নং প্রশাসন ১৫১/২০১২ (অংশ) ১০১৬ (৪৫) মুলে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দপ্তরে পুলিশের পলিসি গ্রুপের সভার চিটিতে তৎকালীন এ আই জি প্রশাসন রখফার সুলতান খানম পি’পি এম (বি পি নং ৭৪৯৯০৯৩২২৭) স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিলো। ২০১৬ সালের ২ মে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তৎকালীন আই জিপি,র সভাপতিতে অনুষ্ঠিত পলিসি গ্রুপের সভার ৩ নং এজেন্ডাতে উল্লেখ করা হয়েছিলো, সিলেট রেঞ্জাধীন (সিলেট -মৌলবীবাজার – হবিগঞ্জ- সুনামগঞ্জ) জেলা – সমুহে বাড়ী এমন পুলিশ সদস্যদেরকে এস এম পিতে বদলী না করা সংক্রান্ত। সে সময়ে – যতটুকু জানা গিয়েছিলো তৎকালীন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল মুহিত সহ আরো অনেকের আপত্তির কারনে পলিসি গ্রুপের সেই সভায় আলোচনার স্থান পায়নি বিষয়টি। বর্তমান সময় ও পরিস্থিতি গত কারনে সেই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তমুলক প্রদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2020
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..