কানাইঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি: অতিষ্ট ভূক্তভোগীরা

প্রকাশিত: ১১:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০

কানাইঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি: অতিষ্ট ভূক্তভোগীরা

মুমিন রশিদ, কানাইঘাট :: সিলেটের কানাইঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সীমাহীন অনিয়ম দূর্নীতি স্বীকার হয়ে অতিষ্ট হয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়েছেন দলিল গ্রহিতা-বিক্রেতারা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অফিসের সামনে জড়ো হয়ে উত্তেজিত অনেক দলিল গ্রহিতারা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জকিগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মোশারফ হোসেন পারভেজ ও অফিসের দূর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের উৎকোচ আদায়ের হয়রানীর স্বীকার হয়ে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ঘেরাও করে সেখানে নানা ধরনের স্লোগান দেন।

একপর্যায়ে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে অফিসের দু’দালালকে পিটুনী দেন উত্তেজিতরা। খবর পেয়ে দ্রুত থানা পুলিশ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। অনেক দলিল গ্রহিতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার দলিল সম্পাদন করা হয়ে থাকে। যার কারনে এ দু’দিন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে প্রচুর দলিল সম্পাদন হয়।

অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা সাব রেজিস্ট্রার এই সুযোগে দলিল সম্পাদন করতে আসা গ্রহিতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে উৎকোচ আদায় করে থাকেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে দলিল সম্পাদনে নানা ধরনের হয়রানী সহ দলিলে ত্রুটি ধরিয়ে আটকিয়ে দেন সাব-রেজিস্ট্রার। সরকারি বিধি মোতাবেক সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দলিল সম্পাদনের কথা থাকলেও এক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রার সোম ও মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত অফিস খোলা রেখে দলিল করে থাকেন। এমনটা করতে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার লঙ্কাকাণ্ড ঘটে তার কার্যালয়ে।

এ সময় দীঘিরপার ইউপির জয়ফৌদ গ্রামের মৃত আবুল হাসিমের পুত্র নুরুল ইসলাম জানান তিনি একটি দলিল সম্পাদন করতে এসে সাব রেজিস্ট্রার তার কাছে সরাসরি ১হাজার টাকা দাবী করেছেন। সাতপারী গ্রামের আরব আলীর পুত্র একই ভাবে ২ হাজার টাকা দাবী করা হয়েছে। আরো একজন জানিয়েছেন তিনি একটি দলিল সম্পাদন না করতে সাব-রেজিস্ট্রার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলে তার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এভাবে প্রত্যেকটি দলিল থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে সাব রেজিস্ট্রার মোশারফ হোসেন পারভেজের বিরুদ্ধে।

এছাড়া দলিল গ্রহিতা-বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন জমি রেজিস্ট্রারের পে-অডারের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার পরও সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কয়েক দফায় তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। এব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রার মোশারফ হোসেন পারভেজের সাথে এব্যাপারে কথা হলে তিনি নানা প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন দলিল সম্পাদন করতে কোন টাকা নিয়ে থাকেন না। কেন অফিসে তুলকালাম কান্ড ঘটলো পশ্ন করলে কোন সদোত্তর তিনি দিতে পারেননি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে কয়েকজন দলিল লেখককে মেনেজ করে অফিসে এমন অনিয়ম দূর্নীতি করে যাচ্ছেন তিনি সহ কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..