সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বাগেরহাটে শাশুড়ির পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সাদিয়া আকতার মান্নিকে (১৯) বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মান্নি খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
পরিবারের অভিযোগ, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রনসেন গ্রামের আশিকুর রহমান সোহানের সঙ্গে সাদিয়া আকতার মান্নির বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ মাস পর মান্নি জানতে পারে তার শাশুড়ি পরকীয়ায় আসক্ত। ঘটনাটি স্বামীকে জানালে শুরু হয় নানা অত্যাচার ও নির্যাতন। একপর্যায় মান্নি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার ওপর বেড়ে যায় অমানবিক নির্যাতন। এ ঘটনায় মান্নির পরিবার বাগেরহাট লিগ্যাল এইডে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। সেখানে তার স্বামী আশিকুর রহমান সোহান স্ত্রীকে মেনে নেবে না বলে চলে যায়।
পরের দিন ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মান্নির বাড়িতে আসেন আশিকুর রহমান সোহানসহ আরও কয়েকজন। এ সময় মান্নির মা অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকেন। এরই মধ্যে ঘরের বারান্দায় অন্তঃসত্ত্বা মান্নির মাথায় কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় তারা। এরপর মান্নিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাদিয়া আকতার মান্নির মা সাকিরা বেগম বলেন, আমরা ব্যাপক আয়োজনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মান্নির বিয়ে দেই। সামান্য ঘটনা নিয়ে এ রকম আমার মেয়ের ওপর হামলা করবে তা কখনো বুঝতে পারিনি। মান্নির গর্ভে একটি সন্তান রয়েছে। আমি মা হিসেবে মেয়ের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সাদিয়া আকতার মান্নি বলেন, বিয়ের দুই মাস পরই শাশুড়ির পরকীয়ায় বিষয়টি জানতে পারি। তখন আমার স্বামীকে অবহিত করি। এরপর থেকেই আমার ওপর শাশুড়ি ও স্বামী দুজনেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। অনেক সময় মুখ বুঝে সহ্য করতাম। এরপরে আরও বেশি নির্যাতন করায় আমার পরিবারকে জানাই। ঘটনার দিন আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর শুরু করে। আমি বিচার চাই।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সাদিয়া আকতার মান্নি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তার গর্ভের সন্তান কেমন আছে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র বলেন, আহত গৃহবধূর পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd