সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেটের বিশ্বনাথে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে চেক ও স্ট্যাম্প হাতিয়ে নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণা মূলক পৃথক মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের ইন্ধনে মামলাগুলো করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রবাসীর ভোক্তভোগী স্ত্রী। এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে এবং ভোক্তভোগী মহিলা পাল্টা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মুফতির গাঁওয়ের মজমিল আলী ও তার সন্তানেরা স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। দেশে থাকেন তার স্ত্রী ফাতেমা খানম। দেশের বাড়িতে গৃহনির্মাণের প্রয়োজনে ফাতেমা খানম ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ব্যুরো বাংলাদেশ বিশ্বনাথ সিলেট শাখা অফিস থেকে কিছু টাকা ঋণ তোলেন। এ সময় ব্যুরো বাংলাদেশ বিশ্বনাথ শাখা অফিসের ঋণগ্রহীতা মহিলা সমিতির সভানেত্রী ছিলেন উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মোঃ আশিক আলীর স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম। প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা খানম ব্যুরো অফিসের সাকুল্য ঋণ পরিশোধ কারার পর ঋণবহি নিয়ে নেন সমিতির সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম এবং বহি জমা দিয়ে ব্যুরো অফিস থেকে ফাতেহা খানমের দেওয়া অলিখিত স্ট্যাম্প ও ফাতেমার স্বক্ষরিত ব্লাঙ্ক চেক তার কাছে নিয়ে আসেন। পরে তা ফাতেমার কাছে ফেরত দেবেন বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন। ইত্যবসরে পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফাতেমা খানমের সাথে বিরোধ বাঁধে একই মুফতির গাওঁের আলকাছ আলীর। আলকাছ আলীর বোন নাজমার বান্ধবী হচ্ছেন মনোয়ারা বেগম। সেই সুযোগকে কাজে লাগান আলকাছ আলী। তার বোনকে দিয়ে ম্যানেজ করে নেন মনোয়ারা বেগমকে। অন্যায় লাভের আশায় ও আলকাছ আলীর প্ররোচনায় পড়ে মনোয়ারা বেগম ফাতেমা খানমের স্বাক্ষরিত অলিখিত দুটি স্ট্যাম্প (নং-কষ ৬২৮১৬০২,নং-কষ ৬২৮১৬০৩) দিয়ে নোটারী পাবলিকে তার অনুকুলে ১৬ লাখ টাকা দেনা-পাওনার একটি এফিডেভিট করে নেন, যা’ সিলেট জজকোর্টের নোটারী পাবলিক এডভোকেট মোঃ আব্দুল মালিক কর্তৃক ০৭.১০.২০১৯ তারিখের এফিডেভিট নং ০১। এফিডেভিটের স্ট্যাম্পের ১ম পাতায় দেয়া ফাতেমা খানমের স্বাক্ষরের সাথে শেষ পাতার ও ছবির পেছনের স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। এই দুই স্বাক্ষর জাল করেই মনোয়রা বেগম ফাতেমার ছবির সাথে নিজের ছবি যুক্ত করে এ এফিডেভিট করেন। পরবর্তীতে এই এফিডেভিট মূলে মনোয়ারা বেগম সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় মিথ্যাভাবে প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা খানমের বিরুদ্ধে প্রতরাণামূলক ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের একটি মামলা {নং-১৩(১১)১৯} করেন। এখানে ই শেষ নয়, ফাতেমা খানমের স্বাক্ষরিত ব্যুরো অফিসে দেওয়া ব্লাঙ্ক চেক (ঝই/অ ০৯১৫৭৭৪) দিয়ে মনোয়ারা বেগম প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা খানমের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বনাথ আদালতে মিথ্যাভাবে ১৩ লাখ টাকার আরেকটি চেক ডিজঅনার মামলা (নং ৩৮৯/১৯)করেন। এই দুই মামলায় প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমাকে গ্রেফতার করিয়ে জেলে দেওয়া হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। সরেজমিন অনুসন্ধানে ব্যুরো বাংলাদেশ বিশ্বনাথ শাখা অফিস থেকে চেক ও স্ট্যাম্প দিয়ে ফাতেমা খানম কর্তৃক ঋণগ্রহণ ও পরিশোধের সত্যতা পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা খানম জানান-আমার স্বামী ও ছেলে-মেয়েরা যুক্তরাজ্যে রয়েছে। আমি একাকী দেশে অবস্থান করছি । অন্যায় লাভের আশায় মনোয়ারা বেগম আমার দুটি স্বাক্ষর জাল করে এফিডেভিট করে আমাকে মামলায় জড়িয়ে জেল খাটায়। এই জাল এফিডেভিটের সাথে ংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd