সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
ক্রাইম প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলার) বিরুদ্ধে মামলা করবে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক- পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বৃহস্পতিবার এক লাইভ অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নিযুক্তিয় আইনজীবি এডভোকেট তাজ উদ্দিন মামলার এ ঘোষনা দেন।
ঘোষনায় বলা হয়- বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার স্বাক্ষরিত সিলেটের পরিবেশ ও নাগরিক সমাজের ১০ প্রতিনিধি নামে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এর ফলে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, ধর্মঘট পালনকে তিনি আদালত অবমাননা উল্লেখ করেছেন । বুধবার গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে প্রেরণ করা হলে তা প্রকাশ পায়। বিবৃতিতে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহবান জানানো হয়। এতে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক- পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দকে আইন আদারত ামান্যকারী বরৈ অভিহিতি কওে তাদের সম্মানের চরম হানী ঘটানো হয়। তাই এ বিবৃতির দায়ে তাদেও বিরুদ্ধে মানরহানীসহ আইনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধারায় মামরা করা হবে বলে জানান তিনি। লাইভ অনুষ্ঠানে সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নিযুক্তিয় এভভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমদ সিরেটের বিভিন্ন কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন সম্পর্কি আদালতের বিভিন্ন সময়যের রায়ের আইনী ব্যাখ্যা তুলে ধরেন যা’ নিম্নরূপ:- “পাথর উত্তলোনের সাথে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত। পথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তলোনে আদালতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই বিষয়ে আইনি বেখ্যা। বাংলাদেশ পরিবেশ আইন বিষয়ক সোসাইটি (বেলা) পরিবেশ রক্ষায় সিলেটে বোমা মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তলোন বন্দের আবেদনে মহামান্য হাইকোর্ট বরাবর একটি রিট করেছিলেন। সেই পরিপেক্ষিতে হাইকোর্টে নির্দেশনা দেয় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তলোন করা যাবেনা।
এবিষয়ের সাথে পাথর ব্যাবসায়ী সংশ্লিষ্ট সকল একমত পোষন করে। পাথর উত্তলোনে বোমা মেশিন বা যান্ত্রিক সাহয্য নিয়ে কোনো পাথর উত্তলোন যাতে নায় সেদিকে খেয়াল রেখে প্রশাসনকে সহযোগতা করবে পাথর ব্যাবসায়ী সংশ্লিষ্ট সকল। কিন্তু পাথর আহরন বন্ধে আদালতের কোনো নির্দেশনা বা বাধ্য-বাদকতা নেই। মেনুয়াল বা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তলন করা যাবে না এমন কোন নিষেদাজ্ঞা নেই। বরং শ্রমজীবী মানুষকে মেনুয়াল পদ্ধতিতে পাথর উত্তলনে প্রশাসনেকে সহযোগিতা করার জন্য আদালতের নির্দেশনা রয়েছ। হাইকোর্টে বাংলাদেশ পরিবেশ আইন বিষয়ক সোসাইটি’র (বেলা’র) রিটের প্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের যে নির্দেশনায় ভোলগঞ্জ, বিছানাকান্দি সহ সিলেটের সকল পাথর উত্তলোন বন্দ করে দেওয়া হয়। যা আমরা মনে করি বে-আইনি।
প্রশাসন যখন নির্দেশনা দেয় যে এখন থেকে আর কোনো পাথর উত্তলোন করা যাবে না। তখন প্রথমে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারীর পূর্ব¦ ইসলামপুর হেমার শ্রমিক ইউনিয়ন, কোম্পানিগঞ্জ একটি রিট পিটিশন ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ইং দাখিল করে যার নং২৫৯৯/২০১৭ দাখিল করে। এর প্রেক্ষিতে ২৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে প্রথম শুনানী হয় এই তারিখেই মহামান্য আদালত একটি রোল জারি করে যে সনাতন পদ্বতিতে কেনো পাথর উত্তলোন অনুমতি দেওয়া হবে না এই জন্য খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কারন দশানো এবং সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তলোন অব্যাহত রাখার অনুমতির জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এই রোলটি ৬ মাসের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখ জনক হলে ও সত্য এর পরে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও জেলা প্রশাসক তার অবস্থানে অনড় থাকেন। তিনি কোনো পাথর উত্তলন করতে দিচ্ছেন না বা দেন নি। দ্বিতিয় শুনানী ২৮জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে ঔ রোলটি ষ্টেনশন করলেন।
করোনাকালীন সময়ে এই রোলের মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পূর্বের আদেশ বহাল রাখার আবেদনে ২১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে পূর্ব ইসলামপুর হেমার শ্্রমিক ইউনিয়ন আবারও একটি একটি দরখাস্ত প্রদান করে। যা মাননীয় আদালত মঞ্জুর করেন। একই ভাবে বিছানাকান্দি পাথর কোয়ারী ও রস্তুমপুর পাথর ব্যবসায়ী সমিতি একটি আবেদন করে উচ্চআদালতে যা নং-২০৬/২০১৭ তার প্রেক্ষিতেও সর্বশেষ অক্টোবর ২০১৯ সনে একই নির্দেশনা দেন আদালত। অর্থাৎ মেনুয়াল বা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তলনে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক- পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নিযুক্তিয় আইনজীবি কর্তৃক মামলার ঘোষনায় সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। নড়ে চড়ে বসতে শুরু করেছেন বেলা’র আইনজীবিরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd