সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মূল আসামি বাসচালক শহিদ মিয়াকে (২৬) জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে শহিদ মিয়াকে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূরের আদালতে হাজির করে পুলিশ তার পাঁচদিনের রিমান্ড চায়। শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন জানান, বাসচালক শহিদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শহিদ সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে। শনিবার ভোরে সিআইডি পুলিশ সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন রোববার সিআইডির হেডকোয়ার্টারে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে শহিদকে দিরাই থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে সিআইডি।
এ ঘটনায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে হেলপার রশিদ আহমদকে ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হেলপার রশিদও ২৯ ডিসেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। এ সময় চালক ও হেলপার কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নিজেকে বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদসহ তিনজনকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ওই ছাত্রী সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২২ ধারায় গত বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে বাবা-মার কাছে দিয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd