সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। জেলায় আগের কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান সভাপতি ও আগের কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। মহানগরে আগের কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন সাধারণ সম্পাদক হন।
এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর তারা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দেখা দেয় অসন্তোষ। ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের অবমূল্যায়ন, বিতর্কিতদের স্থান প্রদান, ক্রমবিন্যাসে বিশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে কেন্দ্রে জমা পড়া কমিটির বিপক্ষে সিলেটে ক্ষোভ দেখা দেয়। এসব অসন্তোষ থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ারের নেতৃত্বে বিকল্প একটি কমিটি জমা পড়ে কেন্দ্রে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মহানগরের সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হয় কেন্দ্রে। পরে মহানগরের একটি সংশোধিত কমিটি জমা দেয়া হয়। এত কিছুর পর বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দু’একদিনের মধ্যেই আসছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। আর মহানগর কমিটি আসছে এ সপ্তাহেই। দলীয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, বুধবার (৬ জানুয়ারি) খসড়া কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ৭৫ সদস্যের কমিটি কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়ার পর তা প্রকাশ করা হতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, প্রস্তাবিত কমিটি থেকে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, দলে নিষ্ক্রিয় ও প্রবাসী নেতাদের ৯ জনকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। মহানগরের প্রস্তাবিত কমিটি থেকে প্রায় ১৮ জনের নাম বাদ হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে দলীয় সূত্র।
প্রস্তাবিত কমিটি দু’টি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কপাল পুড়ছে দুই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দুই ডজনেরও অধিক নেতার। পুনর্গঠিত কমিটিতে তাদের জায়গায় নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।ইতোমধ্যে জেলার প্রস্তাবিত কমিটিতে এক সহ-সভাপতি, দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জন বাদ পড়েছে, যারা নানা কারণে বিতর্কিত। বাদ পড়াদের তালিকায় রয়েছেন প্রবাসীরাও।
বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর কমিটি নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ সভায় কমিটিতে রদবদলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। দলীয় একাধিক সূত্র এমন আভাস দিয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘কমিটি ইস্যুতে স্থানীয় পর্যায়ে নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘কমিটিতে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তারা নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাদ পড়ছেন।’২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান সভাপতি ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মহানগরে আগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তারা জেলা ও মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে জমা দেন।তবে, ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের অবমূল্যায়ন, বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া, ক্রমবিন্যাসে বিশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে কেন্দ্রে জমা পড়া কমিটির বিপক্ষে সিলেটে ক্ষোভ দেখা দেয়। এসব অসন্তোষ থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ারের নেতৃত্বে বিকল্প একটি কমিটির আবেদন জমা পড়ে কেন্দ্রে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মহানগরের সাধারণ সম্পাদককে কেন্দ্রে ডাকা হয়। পরে মহানগরের একটি সংশোধিত কমিটি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দু’টিতে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই বিতর্কিত বা স্বজনপ্রীতির কারণে স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd