সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হাকালুকি হাওরে অতিথি পাখি শিকারিদের ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। চলছে পাখি শিকারের মহোৎসব। শৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা বন্দুক, বিষটোপ, জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার করছেন।
শিকারিরা ৪টি পরিযায়ী পাখি বিক্রি করছেন ২০০০-২৫০০ টাকায়। পাখি শিকার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের কোনো উদ্যোগ নেই। এদিকে পাখি নিধনের কারণে ১৯৯৯ সালে হাকালুকি হাওরকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে সরকার।
সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলাজুড়ে হাকালুকি হাওরের অবস্থান। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর। ৪৮ হাজার হেক্টরজুড়ে এই হাওরে চোট বড় ২৩৮টি বিল ও ১০টি নদী রয়েছে। এখানে প্রতি বছর শীতের শুরুতে সাইবেরিয়া ও হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হাকালুকি হাওরে ছুটে আসে। আর এসব অতিথি পাখি শিকারের জন্য নানা ফাঁদ পেতে থাকেন শিকারিরা।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের হাওরপারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীত এলে হাওরে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাওরের পাঁচবিলা, চৌকিয়া, হাওরখাল, ফুটি, তুরল বিলসহ কয়েকটি এলাকায় সন্ধ্যার পর শিকারিরা জাল পেতে থাকেন। রাতের বেলা পাখিরা খাবারের সন্ধানে দলবেঁধে এক বিল থেকে আরেক বিলে উড়তে যাওয়ার সময় পাতানো জালে ১০ থেকে ১৫টি পাখি আটকা পড়ে।
এছাড়াও বিলের পানিতে কারেন্ট জাল পেতেও পাখি শিকার করা হয়। পাখিরা বিলে নেমে সাঁতার কাটার সময় শিকারিরা তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে পাখিরা জালে আটকা পড়ে। তাছাড়া পুঁটি মাছ ও দানাদার শস্যে বিষ মিশিয়ে পাখি শিকার করা হচ্ছে। পাখিদের মধ্যে সরালি, সাদা বক ও কিছু অচেনা পাখি রয়েছে। হাওর তীরবর্তী বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামে বিক্রি করা হয় পরিযায়ী পাখি।
সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্চ স্টাডির (সিএনআরএস) মাঠ ব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, পাখি শিকারের সঙ্গে হাওরপারের মৎস্যজীবীরাও জড়িত। পাখি শিকারিরা রাতে বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd