সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মাদারীপুরে ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামে নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মিলল কিশোরীর লাশ। শনিবার সন্ধ্যায় এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেমিক ও তার মা, দুই বোন, এক দুলাভাই মিলে ওই কিশোরীকে হত্যার পর তিন টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিল। সেই লাশ আজ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই গত বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর নিখোঁজ থাকায় গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি জিডি করে। এতে কোনো প্রতিকার না হওয়ায় গত বছরের ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় একটি মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম।
দীর্ঘদিন মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়া মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলাটি মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম আসামি সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
শনিবার বিকেলে সাহাবুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয় গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং লাশ গুম করার কথাও স্বীকার করে। সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মুর্শিদার মামা টিপু সুলতান বলেন, আমার ভাগ্নিকে গত বছরের ফ্রেবুয়ারি মাসে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় পর আমরা থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ অসহযোগিতা করে। পরে একপর্যায়ে মামলা হলেও পুলিশ আসামি গ্রেফতার করেনি। আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এরপর আসামির দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আসামির বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদারীপুরের অ্যাডিশনাল এসপি আব্দুল হান্নান মিয়া বলেন, সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামির বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd