বিশ্বনাথের সেই ধর্ষণ মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ আদালতের, বিচার চেয়ে বাদীনির আহাজারি

প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১

বিশ্বনাথের সেই ধর্ষণ মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ আদালতের, বিচার চেয়ে বাদীনির আহাজারি

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথে পঞ্চম শ্রেণী ছাত্রী ধর্ষণের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আসামি কাহার মিয়ার পক্ষে বাদীনির নারাজী। গত ২৯/০১/২০২০ ইং তারিখে বিশ^নাথ থানার এসআই রত্না বেগম মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি কাহার মিয়ার পক্ষে সাফাই গাইলেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার বাদিনী এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজী দিয়েছেন। আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য বিশ^নাথ উপজেলা আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তা তদন্তের নির্দেশ প্রধান করেন। সেই সাথে আগামী ১৯ এপ্রিল ধার্য তারিখে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে আদালতে প্ররণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ধর্ষক কাহার মিয়া বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত মরম আলীর পুত্র। ধর্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রী মা। বিশ^নাথ থানা মামলা নং- ২৬/ নারী ও শিশু মামলা নং- ১২৮/২০২০ ইং।

উক্ত মামলায় ধর্ষক আবুল কাহার (৩০)-কে গত ১ জুলাই রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে র‌্যাব সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল এএসপি আব্দুল খালেক এর নেতৃতে অভিযান চালিয়ে ছাতক উপজেলার ছৈলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পর দিন সোমবার গ্রেফতারকৃত কাহারকে বিশ্বনাথ থানায় হস্তান্তর করা হয়। ধর্ষক কয়েক মাস কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসে।

এদিকে , মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কাহার মিয়া। কিন্তু চেষ্টায় ব্যর্থ হয় কাহার। পরে থানার এসআই রত্না বেগম কাহারের পক্ষে এবং ধর্ষিতার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করছেন। এমন খবর শুনে ধর্ষিতার মা আদালতের বারান্ধায় অঝরে কান্না করছেন। তার কান্না দেখে লোকজন ভীড় জমান।

এ সময় ধর্ষিতার মায়ের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি কান্ন জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, কাহার আমার মেয়েকে বাথরুমের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করছে। এখন আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। ধর্ষিতার মা আরও জানান, পরে থানার এসআই রত্না টাকা নিয়ে কাহারের পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে ইজ্জতের বিচার চাই। আমার মেয়েকে নষ্ট করছে কাহার। মামলাটি সুষ্ট তদন্তের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

উল্লেখ, গত ২০১৯ সালের ২৬ জুন বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর ঘরের পাশে থাকা টিউবওয়েলের পাশে তাকে জোরপূর্বক পাশবিক নির্যাতন করে কাহার মিয়া। পরে পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাল এলাকার মাতব্বরা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2021
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728  

সর্বশেষ খবর

………………………..