সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘আওয়ামী লীগ নেতার শেল্টারে’ বসতবাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক গাছ কর্তনের ঘটনায় দ্রুতবিচার আইনে মামলা করে চরম হতাশায় পড়েছেন বাদী। গত ৩১ জানুয়ারি সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে সিআর মামলা করেন খাজাঞ্চি ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত আজিজুর রহমান মাস্টারের পুত্র ফেরদৌস আজিজ বাবলু (৪০)। তিনিও আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন। মামলাটি আদালতের নির্দেশে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রেকর্ড করে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ (মামলা নং-৭)। আর ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় হোসেনপুর গ্রামের মৃত হারিছ আলীর পুত্র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমদ কুব্বারকে (৫২)।
বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সীমানা আর গাছ নিয়ে তার পাশের ঘরের নুর মিয়ার পুত্র নানু মিয়ার (৩৫) পক্ষের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সালিশে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমদ কুব্বার। কিন্তু তিনি গত ২৮ জানুয়ারি সকালে নানু মিয়ার পক্ষ হয়ে দা, কুড়াল, করাত, ডেগারসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও সন্ত্রাসী নিয়ে বাদীর বসতবাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমদ কুব্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক নারিকেল, সুপারি ও কাঠালসহ বড় বড় বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলে। তখন বাদী তার নিজ ঘর থেকে এমন করুণ দৃশ্য দেখন। আর এ ঘটনায় তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে কবির আহমদ কুব্বার ও নানু মিয়াসহ মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ৮/১০ জনকে। মামলা দায়েরের পর ওসমানীনগরের এএসপি (সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাদী আজিজুর রহমান বাবলু জানান, তিনি মামলা দায়ের করে অনেকটা বিপাকে রয়েছেন।একদিকে আসামিদের মারধরের ভয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছেন, অন্যদিকে মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট আতঙ্কে রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সার্বিক সহযোগিতা চান।
মোবাইল ফোনে কল দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবির আহমদ কুব্বার সাংবাদিকদের জানান, তিনি অনেক দূরে রয়েছেন। সরাসরি দেখা হলে কথা বলবেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামিম মূসা বলেন, নারিকেল গাছ কাটার জন্য দ্রুতবিচার আইনে মামলা দুঃখজনক। মামলাটি ফাইনাল হতে পারে।
ওসমানীনগর সার্কেলের এএসপি রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd