সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় রিমু (২০) নামে এক কলেজছাত্রী অপহরণ করে হত্যার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, নীলফামারী জলঢাকার কচুকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা রুবাইয়া ইসলাম রিমু রংপুর কারমাইকেল কলেজে বাংলা বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। করোনা মহামারিতে দেশে লকডাউন শুরু হলে রিমু নিজ বাড়িতে থাকতেন। সেখানে টাঙ্গনমারী নামক বাজারে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। সেখানে যাতায়াতের সময় রিমুকে প্রতিদিন উত্যক্ত করকেন স্থানীয় কচুকাটা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ হোসেনের ছেলে ফয়সাল (২৪)। ঘটনাটি রিমু তার বাবা ও বড় ভাইকে জানালে বড়ভাই ফয়সালকে মারধর করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়েছে রিমুকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন ফয়সাল। সোমবার সকাল ১১টায় প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফয়সাল ও একই এলাকার জাহিদুল হোসেন মাস্টারের ছেলে রিজভী (২৪) জোর করে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে রিমুকে জলঢাকার রাজারহাট বাজারের অদূরে একটি ফাঁকা ব্রিজের কাছে চলন্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটকে রিমুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বাধ্য করেন।
তারা আরও জানান, পরে ফয়সাল ও রিজভী রিমুকে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে রিমুর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যায় রিমুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে লিফটে রিমু মারা গেছেন নিশ্চিত হয়ে লাশ ফেলে পালিয়ে যান তারা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ হিমঘরে রাখে।
রিমুর নানা মো. আবু তালেব বলেন, আমার নাতনিকে প্রতিদিনই ফয়সাল ও রিজভী উত্যক্ত করতো। রিমুর বাবা তাদের শাসন করায় ক্ষোভে পরিকল্পিতভাবে রিমুকে হত্যা করেছে তারা। আমি ফয়সাল ও রিজভীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, নিহতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক থানায় মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd