যুক্তরাজ্যে স্ত্রী-সন্তান রেখে দেশে গোপনে ৩য় বিয়ে করলেন সুনামগঞ্জের সফিক!

প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২১

যুক্তরাজ্যে স্ত্রী-সন্তান রেখে দেশে গোপনে ৩য় বিয়ে করলেন সুনামগঞ্জের সফিক!

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সফিক মিয়া, দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। যুক্তরাজ্যে তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান রয়েছে। মাঝে মাঝে দেশে আসেন। এসেই সুন্দরী তরুনী দেখে বিয়ে করেন। বিয়ের নামে তরুনীদের ভোগ করাই তার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিয়ে পাগল সফিক মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাঁও সিকন্দরপুর গ্রামে। বর্তমানে ছাতকের মইশাপুর জালালপুর এলাকায় একটি বাসায় নতুন স্ত্রীকে নিয়ে রয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের মনোহর আলীর পুত্র। সফিক প্রথম বিয়ে করেন ২০০০ সালে। গন্ডপপুর গ্রামের কাসন আলীর কন্যা মিসফা বেগমকে। বিয়ে করে যুক্তরাজ্যেও নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ডিভোর্স দিয়ে দেন। ওই স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য জীবনে তাদের কোন সন্তান নেই তাদের।
পরে ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ যুক্তরাজ্যে ২য় বিয়ে করেন সফিক। ২য় স্ত্রী তামান্না সুলতানার সাথে দাম্পত্য জীবনে তারা ৩ সন্তানের জনক-জননী। রাহিম, আমিনা ও ৩ বছরের মেয়ে আয়শাকে যুক্তরাজ্যে স্ত্রীর কাছে রেখে দেশে বেড়াতে আসেন সফিক। দেশে এসে ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আরেকটা বিয়ে করেন সফিক। ৩য় স্ত্রী খাদিজা আক্তার ঝুমা ছাতকের বানারশি গ্রামের মো. গৌছ মিয়ার কন্যা।

বিয়ের কাবিনামায় ১ম বিয়ের কথা (ডিভোর্স) উল্লেখ করলেও ২য় বিয়ে ও ৩ সন্তানের কথা উল্লেখ করেননি সফিক মিয়া। ২য় বিয়ের সকল তথ্য গোপন রেখেই প্রতারণা করে ৩য় বিয়ে করেন তিনি।

এ খবর পান যুক্তরাজ্যে থাকা ২য় স্ত্রী তামান্না সুলতানা। কিন্তু করোনার কারণে দেশে আসতে না পারায় তিনি কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। তবে- বিষয়টি যুক্তরাজ্যে কমিউনিটি, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনকে অবহিত করেছেন। এসব খবর জানতে পেরে সফিক মিয়া যুক্তরাজ্যে যাবেন কি-না, তা নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যে থাকা ২য় স্ত্রী তামান্না সুলতানা বলেন, ‘হি’জ লায়ার’ অর্থাৎ সে একটা মিথ্যাবাদী। আমাকে না জানিয়ে ৩ সন্তানের কথা গোপন রেখে বিয়ে করেছে। আমার একটি ৩ বছরের মেয়ে রয়েছে। করোনা মহামারিতে মেয়েকে রেখে দেশে যেতে পারছি না। দেশে যেতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতাম।

তবে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন কমিউনিটি, পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছি। সে যুক্তরাজ্যে আসলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, ২য় স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে গোপন রেখে বিয়ে করার খবর নববিবাহিতা স্ত্রী ঝুমাও জেনে গেছেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে। এক পর্যায়ে সফিক বলেন, বেশী ঝামেলা করলে কাবিনের টাকা দিয়ে ডিভোর্স দিয়ে দেবো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার সাথে থাকা এক ব্যক্তি জানান, সফিক খাদিজা আক্তার ঝুমাকে ডিভোর্স দিয়ে আরেকটি বিয়ে করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি জায়গায় কনেও দেখে ফেলেছে। না জানি এভাবে কয়টা মেয়ের জীবন নষ্ট করে।

এ ব্যাপারে সফিক মিয়া সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে পরবর্তীতে কথা বলবেন বলে জানান। পরে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..