সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২১
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে পিকেটিং করার জের ধরে দুই (বৃহত্তর আমতৈল ও ধলিপাড়া) গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২৫০/৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে পুলিশের পক্ষ হতে এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে বিশ্বনাথ থানার এসআই দিদারুল আলম বাদী হয়ে সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৩৫। সংঘর্ষের পর পরই উভয় পক্ষের আটককৃত ৫জনকে এই মামলায় এজাহার নামীয় অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার দেখানু হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার মাখরগাঁও (আমতৈল) গ্রামের রফিক আলীর পুত্র আশিক মিয়া (২৮), শান্তিপুর (আমতৈল) গ্রামের মৃত বিলাল উদ্দিনের পুত্র মুসা মিয়া (৩৩), ধলিপাড়া গ্রামের জমির আলীর পুত্র খায়রুল ইসলাম (২৮), একই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র আইয়ূবুল হক (২২) ও মৃত নজর উদ্দিনের পুত্র কুতুব উদ্দিন (৩৫)। উল্লেখ্য, গত রোববার (২৮ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে পিকেটিং করার জের ধরে বৃহত্তর আমতৈল ও ধলিপাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ৫ সদস্যসহ উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন ৪ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ সটগানের ৯০ রাউন্ড গুলি ও ৬ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এঘটনায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে উভয় পক্ষের ৬৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২৫০/৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। এছাড়া আমতৈল ও ধলিপাড়া পক্ষেও পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে সূত্রে জানা যায়। এসল্ট মামলা দায়ের ও ৫ জনকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. শামীম মুসা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd