সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:০৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের একজন মানবতার ফেরিওয়ালা মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব আলা উদ্দিন আলাল। তিনি মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন অসংখ্য অসহায় মানুষের। অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান, রাস্তায় পড়ে মানুষকে উদ্ধার চিকিৎসা ও সেবা প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান, হিজড়া জনগোষ্টী ও ক্ষুধার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, প্রতিবছর ঈদ বাজার বিতরণ, হুইল চেয়ার প্রদান, দোকান তৈরিতে সহায়তা, হারানো ব্যক্তিকে খুঁজে দেওয়া, সেলাই মেশিন প্রদান, মসজিদের ফ্যান প্রদান, শীতের পোশাক বিতরণ, গৃহপালিত পশু সহায়তা প্রদান, অসহায় মেয়ের বিয়ের জন্য সহায়তা প্রদান করাই যা একমাত্র লক্ষ্য।
এই করোনা দুর্যোগে অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে হাজার হাজার পরিবারে প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও করোনা দুর্যোগে দুই ঈদে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার বিতরণ, করোনা দুর্যোগে বানভাসি মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন সময় নানানভাবে মানুষের পাশে দেখা যায় এই মানবতার ফেরিওয়ালা আলা উদ্দিন আলালকে।
বর্তমান সময়ে কঠোর লকডাউনে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি মঙ্গলবার একটি লেগুণা গাড়ি নিয়ে সিলেটের সুরমা পড় ও জিন্দাবাজার এলাকায় ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন আলাল।
মানবতার ফেরিওয়ালা আলা উদ্দিন আলাল তিনি সিলেটের শহরতলী পিরের বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিজেও একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক। প্রশ্ন তাহলে তিনি কি ভাবে কি করে এত মানুষকে সেবা প্রধান করেন।
আলা উদ্দিন আলাল ছিলেন সিলেটের একজন নাঠ্যকার। যিনি সর্বদা মানুষকে বিনোদন দিতেন। এখনও নাটকের কাজ ছাড়েননি। নাটকের পাশাপাশি Ala Uddin Alal নামক ফেসবুক পেজ থেকে নিয়মিত লাইভ করেন তিনি। সেই লাইভ থেকে সমাজের বিত্তবান ও প্রবাসীদের কাছে অসহায় মানুষের জন্য সাহায্য চান তিনি। আলা উদ্দিন আলালের কথা শুনে প্রবাসীরা মুগ্ন হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সেই সাহায্য লাইভের মাধ্যমে আবার মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। কিছুতেই থামছে তাহার মানবিক কাজ। তার কাজ দেখে অনেকেই আনন্দিত হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
মানবতার ফেরিওয়ালা আলা উদ্দিন আলাল বলেন, আমার এই কাজের কৃতিত্ব ফেসবুক বন্ধুদের, আমি মাত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারাই আমাকে মানুষের জন্য কাজ করতে বড় সাফল্য এনে দিয়েছে।
আমি যখন এই কাজ শুরু করি তখন আমাকে নিয়ে অনেকে অনেক রকম বাজে করছে এখনও কিছু কিছু আমার পিছনে সমালোচনা করের। তবে আমাকে অনুপ্রেরণা দিতেন আমার কাছের কিছু বন্ধু বান্ধব। তখন আস্তে আস্তে আমার প্রবাসী ভাইয়েরা আমার কাজে সহযোগিতা করতে শুরু করলো। তখন সবাই আমাকে অনুপ্রেরণা ও পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd