সিলেট ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২১
ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকের সেই ডায়না বেগম ওরফে ডায়না সুন্দরীকে দুই মাস পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহাবাজপুর ইউনিয়নের ষাটঘরি গ্রামের সউদি আরব প্রবাসী আবদুল জলিলের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বড়লেখা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ছাতক থানা পুলিশ ডায়নাকে উদ্ধার করে রাতেই ছাতকে নিয়ে আসেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার বিকেলে তাকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ছাতক উপজেলায় জাউয়াবাজার ইউনিয়নের মুলতানপুর গ্রামের ফনা উল্লার কন্যা ডায়না বেগম গত ৩০ মে গভীর রাতে মৌলভীবাজার জেলাধীন বড়লেখা উপজেলার সৌদি প্রবাসী প্রেমিক আবদুল জলিলের বাড়িতে স্বেচ্ছায় চলে যায়। যদিও জলিল থাকেন প্রবাসে। এ ঘটনায় গত ৩জুন তার মা ফুলতেরা বেগম ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১১৫) করেন।
এদিকে, উধাও হওয়ার পর অজ্ঞাত স্থান থেকে একাধিক ভিডিও বার্তায় ডায়না বেগম তার পরিবারের সদস্যদের জিম্মিদশা থেকে স্বেচ্ছায় পালিয়ে মুক্তি পেয়েছে, বিয়ে করে নতূন সংসার নিয়ে বেশ ভালই কাটছে তার দিন। এসব এছাড়াও পরিবারের সদস্য কর্তৃক বিভিন্ন প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি ফাঁস করে আসছিল ডায়না। পরে এসব ভিডিও বার্তা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে পাঠাতেন প্রবাসী আবদুল জলিল। এক পর্যায়ে গত ১৫ জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে কোর্টে ওই সউদি প্রবাসী আবদুল জলিলের সাথে বিয়ে হয় ডায়না বেগমের।
এ ব্যাপারে সউদি প্রবাসী আবদুল জলিল মোবাইল ফোনে জানান, পরিবারের নির্যাতন সইতে না পেরে ঘর ছেড়ে তার বাড়ির ঠিকানায় স্বেচ্ছায় চলে আসে ডায়না। পরে তিনি নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে তাকে বিয়ে করেন। ডায়না বেগম তার বিবাহিত স্ত্রী। পুলিশ কর্তৃক স্ত্রীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়ায় তিনি নিরাপদ মনে করছেন না। তার ধারণা পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। স্ত্রী ডায়নাকে না পেলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন স্বামী আবদুল জলিল। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি ডায়নার মাধ্যমে ভিডিও বার্তা বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের কাছে পাঠাতেন বলে স্বীকার করেন।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন ডায়না বেগমকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়েছে দাবী করা হলেও বয়স কিছুটা কম হওয়ায় ভিকটিমকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd