সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি হাসপাতালে সব সুযোগ সুবিধা থাকার পরও গর্ভবতী নারীকে ক্লিনিকে নিয়ে সিজার অপারেশনে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুপুর আক্তারের বিরুদ্ধে। সরকারি সেবা না পেয়ে ওই নারীর স্বামী বিচার দাবি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রসব বেদনা নিয়ে গত সোমবার বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাবুল নলির স্ত্রী মোসাম্মৎ মিতু (২০)। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুপুর আক্তার মিতুকে পরদিন দুপুরে সিজার অপারেশন করবেন বলে প্রস্তত থাকতে বলেন।
ওই দিন ডা. নুপুর এসে প্রসূতি মিতুর স্বামী বাবুলকে বলেন, এখানে (সরকারি হাসপাতালে) অপারেশন করা যাবে না। তিনি একটি ক্লিনিক দেখিয়ে বলেন, ওখানে নিয়ে ভর্তি করেন আমি এসে অপারেশন করব। চিকিৎসকের নির্দেশ পেয়ে বাবুল তার স্ত্রী মিতুকে নিয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে মিতু একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেন। শনিবার ওই ক্লিনিক থেকে মিতুকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
মিতুর স্বামী বাবুল নলি সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে জোরপূর্বক ক্লিনিকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে আমি মাত্র ৪০০০ টাকায় সিজার অপারেশন করাতে পারতাম। কিন্তু ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর আমার ২৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। আমার মতো এরকম যেন কেউ হয়রানির শিকার না হন।
এ প্রসঙ্গে ডা. নুপুর আক্তার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ডা. নুপুরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ২-১ দিনের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রায় ১০ বছর বন্ধ থাকার পর গত ২২ জুন বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইওসি (জরুরি প্রসূতি সেবা) বিভাগ চালু করা হয়। ইওসি বিভাগ চালুর পর থেকে মাত্র ৫ জন রোগীর সিজার অপারেশন করা হয়েছে। অথচ এ সময়ের মধ্যে বাউফলের বাণিজ্যিক ক্লিনিকগুলোতে ২ শতাধিক সিজার অপারেশন করা হয়েছে।
বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কতিপয় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শিকাসহ দালাল সিন্ডিকেট টাকার বিনিময়ে প্রসূতি রোগীদের বাণিজ্যিক ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। সেখানে রোগীদের গলা কেটে টাকা আদায় করা হয়।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যারা রোগী নিয়ে ব্যবসায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd