সিলেট ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২১
’নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরী এখন বাঁশের নগরী। সিটি কর্তৃপক্ষ যখন সিলেট নগরীকে ক্লীনসিটি, গ্রীণসিটি ও জিটিালসিটি বলে ঘোষনা করছেন এবং এ লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে যাচ্ছেন, ঠিক সে সময়ই রাস্তায় রাস্তায় বাঁশ পাতিয়ে সিলেটকে বাঁশেসিটি’তে পরিনত করা হয়েছে। ফলে নগরবাসীসহ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের চরম দৃষ্টিকটু লাগছে এ নগরী। নাম পরিচয় না করে এক পর্যটক বলেন, সিলেটকে ডিজিটাল ক্লীনসিটি শোনে এসে দেখি এটাতো ডিজিটাল বাঁশসিটি। প্রতিটি পয়েন্টে দেখি বাঁশ আর বাঁশ। যানবাহন চলাচলে নির্মিত রাস্তা কাঠামো ও পাকা ডিভাইডার যদি যথেষ্ট না হয় না হলে পাকা করে ডিভাইডার দিতে পারেন বা সম্প্রসারন করতে পারেন। এটা না করে গ্রাম থেকে আইকা বাঁশ এনে যদি ডিভাইডার দিতে হয় তা হলে এটা আবার ক্লীনসিটি,গ্রীণসিটি ও ডিজিটাল সিটি হয় কেমন করে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সিলেট নগর উন্নয়ন ও নগর প্রশাসন সিসিক’র বলে দাবি করা হলেও নগরের উন্নয়নে হস্তক্ষেপ রয়েছে এসএমপি পুলিশের। পুলিশ যখন ইচ্ছা করে তখনই রাস্তায় বাঁশ পাতার করে দিতে পারে। অথচ সিলেট সিটির বিদ্যমান অবকাঠামোর পবির্তন না করেই যানবাহন নিয়ন্ত্রন পুলিশের দায়িত্ব। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সুন্দরকে অসুন্দর এবং বাশঁ পাতিয়ে দৃশ্যত অবকাঠামোর পরিবর্তন ঘটাচ্ছে পুলিশ। এতে করে পর্যটন নগরী সিলেটকে জিজিটাল বাঁশনগরী’তে রূপান্তরিত করা হয়েছে। নগরের সিটি পয়েন্ট,বন্দর পয়েন্ট চৌহাট্টা, লামাবাজার, আলিয়া মাদ্রাসা, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট থেকে নিয়ে শুরু করে এমন কোন পয়েন্ট নেই, যেখানে আঁইকাবাঁশ পাতার করা হয়নি। সতেন নাগরিকসহ যানবাহন চালকদের অভিযোগ, এসএমপির ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রন নামে সিএনজি অটোরিক্সায় যাত্রী কমিয়ে ভাড়া বৃদ্ধির পাশপাশি নগওে যানবাহন দ্বিগুন করে দিয়েছে। আর এই যানবাহন থেকে অবৈধ ফায়দা হাসিল করার নিমিত্তেই ট্রাফিক পুলিশ নগরীকে বাঁশের নগরীতে পরিনত করেছে। সিলেট ছাড়া দেশের অন্য কোনো সিটিতে যানবাহণ নিয়ন্ত্রন নামে বাঁশ পাতানোর কোনো নজির আছে কি না তা জানতে চায় নগরবাসী। যানবাহন নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজনে বর্তমান অবকাঠামো পরিবর্তন পরিবর্ধন করতে হলে তা পাকা করণের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করে করা আবম্যক বলে নগরের সচেতন নাগরিকরা মনে করেন। এ বিষয়ে জানতে গতকাল রাত পৌণে ৯টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সেলফোনে বারবার কল করলে তিনি এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। তবে সিসিক’র প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, যানজট নিরসনে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে আরো ডিভাইডার নির্মান ও সম্প্রসারন প্রয়োজন। এর জন্য পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁশ পাতানো দৃষ্টিকটু একথা স্বীকার করে প্রকৌলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, এটা এসএমপির ট্রাফিক পুলিশই তাদের ইচ্ছেমতে করেছে। এতে আমাদের (সিসিকের) কোন অনুমতি নেয়নি বা আমাদেরকে অবহিত করেনি। কি কারনে ও কি প্রয়োজনে ট্রাফিক বাঁশ পাতার করে ডিভাইডার দিয়েছে, সেটা এসএমপির ট্রাফিক ডিসিই বলতে পারেন। এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে গতকাল রাতে (৯.৪৬) এসএমপি’র ডিসি (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমূদের সাথে মুঠোফেনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd