সিলেট ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: গোয়াইনঘাট উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বিভক্তি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে এলাকায় উত্তেজনা। বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। এ নিয়ে এলাকায় হতে পারে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। উপরন্তু নির্ধারিত ভোটকেন্দ্র সীমান্ত পিলার ঘেষা হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়েও ভোটাররা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। একটি গ্রাম নিয়ে ১ নং ওয়ার্ড গঠন না করে মনাইকান্দি এবং বুগইলকান্দি দুইটি গ্রাম একত্রিত করে একটি ওয়ার্ড গঠনের দাবি জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় ইউনিয়নকে ভাগ করে মধ্যবর্তী আরেকটি ইউনিয়ন সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
কিন্তু বিভাজন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগনের মতামতের তোয়াক্কা না করে বিভক্তি চালানোর ফলে এলাকার মধ্যে দ্বিধাদন্দ্ব ও সামাজিক বিশৃংখলার জন্ম নিচ্ছে। ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের বুগইলকান্দি, মনাইকান্দি ও খুরি গ্রাম নিয়ে ছিল ১নং ওয়ার্ড এবং ভোটকেন্দ্র ছিল মনাই কান্দি মাদ্রাসা। চলমান বিভাজন প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র বুগইলকান্দি গ্রাম নিয়ে একটি ওয়ার্ড এবং মনাইকান্দি ও খুরি গ্রামকে নিয়ে আলাদা একটি ওয়ার্ড করা হচ্ছে।
এতে করে এই ওয়ার্ডের জনগণের মধ্যকার দীর্ঘদিনে মেলমন্ধন ভেঙ্গ গিয়ে সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি হবে। এছাড়াও মনাইকান্দি ও খুরি গ্রাম নিয়ে প্রস্তাবিত ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের জন্য কোন প্রথমিক বিদ্যালয় নেই। ভোটকেন্দ্র হিসেবে ভারত সীমান্তের ১২৬৬ পিলার সংলগ্ন একটি মক্তবকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মক্তবটি একেবারে সীমান্ত ঘেষা হওয়াতে ভোটাররা ভোটদানের সময় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
এমতাবস্থায় চলামান বিভাজনে বুগইলকান্দি, মনাইকান্দি ও খুরি এই তিন গ্রামকে বিভক্ত না করার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ২৮ অক্টোবর সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে তারা পূর্বের ন্যায় বুগইলকান্দি, মনাইকান্দি ও খুরি এই তিনি গ্রামকে একটিমাত্র ওয়ার্ডে রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
স্মারকলিপির পেক্ষিতে সিলেট জেলা প্রশাসকের কক্ষে এলাকাবসীকে ডাকানো হয়। এসময় স্থানীয়দের মতামত নেওয়া হলেও বেশির ভাগই সকলের সুবিধারর্থে বুগইলকান্দি, মনাইকান্দি নিয়ে একটি ওয়ার্ড গঠনের প্রস্তাব আসে। কিন্তু এলাকার একটি কুচক্রী মহল ভোটের উদ্যেশ্যে সেই প্রস্তাবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এলাকার শালিস ব্যাক্তিত্ব ও কুচক্রী মহলের মধ্যে দ্বিধাদন্দ্ব সৃষ্টি হলে জেলা প্রশাসক কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর প্রশাসকের আঙ্গিনায় দুপক্ষের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এ ঝগড়ার জেরে এলাকার মধ্যে থমথমে অবস্তা বিরাজ করছে। সাবেক ওয়ার্ডের বিভক্তি ঘটলে এলাকায় রক্তারক্তি ঘটতে পালে বলে শান্তিকামী মানুষজন জানিয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd