গোয়াইনঘাটে পাথর শ্রমিক পরিবারে হাহাকার : কোয়ারী খোলার আকুতি

প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২১

গোয়াইনঘাটে পাথর শ্রমিক পরিবারে হাহাকার : কোয়ারী খোলার আকুতি

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : দেশের অন্যতম বৃহৎ পাথর কোয়ারী সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং-বিছনাকন্দি। দেশের নির্মাণকাজের সিংহ ভাগ পাথরের চাহিদা এই দুই পাথর কোয়ারী মিটিয়ে থাকে। শুধু পাথর কোয়ারী নয়। পাথরকে কেন্দ্র করে এ স্থানটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে আলাদা ভাবে পৃথিবির কাছে নিজের পরিচিতি তুলে ধরেছে। ইতিমধ্যে সরকার জাফলং এলাকাকে ইকোলজিকেল ক্রিটিকেল এরিয়া (ইসিএ) হিসেবে ঘোষনা করেছে। ফলে জাফলং পাথর কোয়ারী থেকে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে সরকারি বাধাঁ নিষেধ রয়েছে। সেই সাথে বিছনাকান্দিকেও।

অপরদিকে এই পাথর কোয়ারীরগুলোর উপর নির্ভরশীল গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার লক্ষাধিক শ্রমিক। মূলত গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলাবাসীর পাথর কোয়ারী ছাড়া অন্য কোন কর্মসংস্তানের ব্যবস্থা নেই। এই তিন উপজেলার সাধারণ শ্রমিক কার্তিক মাস থেকে কোয়ারীতে কাজ শুরু করেন এবং ফাল্গুন মাস পর্যন্ত কাজ করেন কোয়ারীতে। কিন্তু এলাকাকে ইকোলজিকেল ক্রিটিকেল এরিয়া (ইসিএ) ঘোষনা করার পর এখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও পাথর উত্তোলনে বাধাঁ দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। দীর্ঘদিন থেকে উক্ত কোয়ারিগুলো থেকে পাথর উত্তোলন করতে না পেরে পাথর শ্রমিক পরিবারে হাহাকার দেখা দিয়েছে। অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে পাথর শ্রমিকদের জীবন যাপন।

তাছাড়া কোয়ারির পাথরের উপর নির্ভর কয়েক শতাধিক ক্রাশার মিল ও বন্দের উপক্রম দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পাথর কোয়ারি বন্দের প্রভাব পড়েছে তিন উপজেলার প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্টানে। সনাতন (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন পাথর শ্রমিক, পাথর ব্যবসায়ী ও পাথরের সাথে সম্পৃক্তরা। এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার শত শত বার্কি শ্রমিক ক্ষুধার যন্ত্রণায় নৌকা নিয়ে পাথর উত্তোলন করতে গেলে সেখানেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় একদল চাঁদাবাজ। চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে শুরু করে নানাবিধ অপপ্রচার।

সরেজমনি বিছনাকান্দি কোয়ারী এলাকায় দেখা যায় দুই-একটি বার্কি নৌকা নিয়ে সিঙ্গেল পাথর উত্তোলন করছেন কিছু শ্রমিক। এদের কাছেও চাঁদাবাবি করে কিছু নামধারী সাংবাদিক। এক শ্রমিক জানান, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন যুবক কোয়ারীতে আসেন। আমাদের ছবি তোলেন এবং টাকা দাবি করেন। তাদের টাকা না দিলে তারা ভিডিও করে পাথর উত্তোলন করা বন্ধ করে দেন। তিনি আরও বলেন, আমরা নদী থেকে সিঙ্গেল উত্তোলন করে এলাকার মানুষের কাছে বিক্রি করি। এখানে কেউ আমাদের বাঁধা প্রধান করে না। কাউকে টাকাও দিতে হয় না। কিন্তু এই সাংবাদিকরা এসে আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। আমরা এই সাংবাদিক চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই।স্থানীয়রা জানান, বিছনাকান্দিতে কোন ধরণের বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন হয়নি। কিন্তু একটি চক্র অবৈধ ফাঁয়দা হাসিলের লক্ষে ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে আপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এলাকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আমরা এই সকল অপপ্রচারের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2021
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

সর্বশেষ খবর

………………………..