সিলেট ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি ও সহ-সভাপতি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েই এ জটিলতা। প্রেসিডিয়াম গঠনকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যা থেকে সিলেট চেম্বারে উত্তেজনা দেখা দেয়। নানা নাটকীয়তা, উত্তেজনা আর এক পক্ষের বর্জনের মধ্যেই রাতে সিলেট চেম্বারের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। চেম্বারের নতুন সভাপতি হয়েছেন তাহমিন আহমদ।
এছাড়া ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আতিক হোসেনকে সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারা সকলেই চেম্বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে তাহমিন ও আতিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে চেম্বার নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল জব্বার জলিল এই তিনজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তাই চেম্বারের নির্বচনী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ। মঙ্গলবার আপিল বোর্ডের কাছে প্রেসিডিয়াম গঠনের সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়ে এই আপিল করেন চেম্বারের নবনির্বাচিত পরিচালক আব্দুর রহমান জামিল।
আপিলকারী আব্দুর রহমান জামিল এই মর্মে অভিযোগ করেন, জামিল অভিযোগ করে বলেন, এই ইসি নির্বাচনের শুরু থেকেই পক্ষপাতিত্ব করছেন। ভোটার নম্বর দেরিতে প্রদানসহ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। সবশেষে প্রেসিডিয়াম গঠনে পক্ষপাতিত্ব করে তিনি ব্যবসায়ীদের মর্মাহত করেছেন। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্ধ্যা ৭টায় হঠাৎ করে রাত ৯ টা পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া মুলতবী ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মুলতবী সভা শুরু করা মাত্রই প্রেসিডিয়াম নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর না হয়েই বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে আনুমানিক রাত ১০টায় সংঘবিধির অজুহাতে সভাপতি পদে মো. আব্দুর রহমান জামিল ও হুমায়ূন আহমদের প্রার্থীতা বাতিল করেন। একই সময়ে নতুন সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সহসভাপতির নাম ঘোষণা করেন।
চেম্বার সূত্র জানায়,সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে নির্বাচিত পরিচালক আব্দুর রহমান জামিল চেম্বারের সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন। তবে সোমবার তার মনোনয়ন বাতিল করে সিলেট সম্মিলত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে নির্বাচিত পরিচালক তাহমিন আ্হমদকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন বোর্ড। আপিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট চেম্বার নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান ড. শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, একটি আপিলের আবেদন জমা পড়েছে। তবে আবেদনটি আমি এখনও পড়িনি। ফলে এতে কি অভিযোগ আনা হয়েছে তা এখন বলতে পারছি না। আগামী ১৮ ডিসেম্বর আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন একইদিনে সিদ্ধান্তও প্রদান করা হবে।
উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে নির্বাচিত সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রহমান জামিল গণমাধ্যমকে বলেন, ১১ ডিসেম্বর সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৪০ জন প্রার্থী বিভিন্ন শ্রেণীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সরাসরি ভোটে ১৮ জন নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পরবর্তী প্রক্রিয়া প্রেসিডিয়াম নির্বাচন।
জামিল বলেন, সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ড প্রেসিডিয়াম গঠনের লক্ষ্যে গত সোমবার বিকেল ৩টায় সভা আহ্বান করেন। এসময় নির্বাচন বোর্ডেও চেয়ারম্যান সভাপতি পদে তাহমিন আহমদ, আব্দুর রহমান জামিল, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে জিয়াউল হক, ফালাউদ্দিন আলী আহমদ এবং সহসভাপতি পদে হুমায়ূন আহমদ ও মো. আতিক হোসেন এর নাম একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড গোপন ব্যালটের মাধ্যমে বা উপস্থিত সকল পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে বা হাত উত্তোলনের মাধ্যমে প্রেসিডিয়াম নির্বাচন করবেন কি না সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের মতামত চান। এসময় পরিচালক তাহমিন আহমদ একটি লিখিত আপত্তি নির্বাচন বোর্ড বরাবরে প্রদান করেছেন বলে জানানো হয়।
জামিল অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্ধ্যা ৭টায় হঠাৎ করে রাত ৯ টা পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া মুলতবী ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মুলতবী সভা শুরু করা মাত্রই প্রেসিডিয়াম নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর না হয়েই বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে আনুমানিক রাত ১০টায় সংঘবিধির অজুহাতে সভাপতি পদে মো. আব্দুর রহমান জামিল ও হুমায়ূন আহমদের প্রার্থীতা বাতিল করেন। একই সময়ে নতুন সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সহসভাপতির নাম ঘোষণা করেন।
আব্দুর রহমান জামিল আরও বলেন, প্রেসিডিয়াম নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রুপর প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে প্রসিডিয়াম গঠন হল কিনা তা কারো পক্ষে বুঝার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনী বোর্ড কিসের ভিত্তিতে ২টি মনোনয়ন বাতিল করলেন তা আমাদের জানা নেই। নির্বাচনী বোর্ডের এসব অযৌক্তিক, অন্যায়ভাবে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করে একতরফা ভাবে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়ে সিলেটের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মর্মাহত করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করবো। আপীল কর্তৃপক্ষ আমাদের সন্তোষজনক জবাব না দিলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেব।
এসময় সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের নবনির্বাচিত পরিচালক জিয়াউল হক, হুমায়ূন আহমদ, আলিমুল এহসান চৌধুরী, জহিরুল কবির চৌধুরী সিরু, মো. আব্দুস সামাদ, দেবাংশু দাস মিঠু, খন্দকার ইসরাক আহমদ ও সানোয়ার হোসেন ছেদু-সহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd