সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
জুবায়ের আহমদ, বিয়ানীবাজার :: বিয়ানীবাজার উপজেলার ১১ নং লাউতা ইউনিয়নের ২৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন বীর মুক্তি যোদ্ধা এম এ জলিল। সব শেষ ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে এম জলিল হেরেছিলেন সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ গৌছ উদ্দিনের কাছে।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর বিয়ানীবাজার উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত নির্বাচনের হারের বিষাদের পর আবারও নির্বাচনে প্রতিদন্ধীতা করছেন বীর মুক্তি যোদ্ধা এম এ জলিল। এইবারও তার প্রধান প্রতিদন্ধী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্র নেতা আওয়ামীলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মোঃ গৌছ উদ্দিন।
এম এ জলিল জানান গত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল। দীর্ঘদিন তিনি চেয়ারম্যান থাকায় সাধারণ মানুষ মনে করেছিল তাকে পরিবর্তন করলে হয়তো লাউতা ইউনিয়নে আরও বেশী উন্নয়ন হবে। সেই চিন্তা থেকে সাধারণ মানুষ বিগত নির্বাচন তাকে পরিবর্তন করেছিল। তবে এই ৫ বছরে সাধারণ মানুষ আবারও পরিবর্তন চায়। ইউনিয়ন নিয়ে নানা অভিযোগ করে তিনি বলেন আগামী ২৬ তারিখের নির্বাচনে তিনি তার জ্বয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এদিকে সাবেক ছাত্র নেতা আওয়ামীলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত বর্তমান চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন জানান সাবেক ৪ বারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল সম্পর্কে তার দাদা হন। তবে নির্বাচনে তিনি কোন ভাবেই কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। সেজন্য তিনি তার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তিনি আরও জানান তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করেগেছেন। প্রবেশ করতে পেরেছেন প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে। সেজন্য তিনি বিশ্বাস করেন আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করে তাকে আবারও নির্বাচিত করবেন।
প্রসঙ্গত এই ইউনিউয়নে সাবেক চেয়ারম্যান এম এ জলিল এবং বর্তমান চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন ছাড়া চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আরও ৩ জন প্রার্থী। তবে ভোটারদের ধারণা মূলত এম এ জলিল,গৌছ উদ্দিন এবং দেলোয়ার হোসেন এই ৩ জনের মধ্যে প্রধান ভোট যুদ্ধ হবে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা ২৬ তারিখের নির্বাচনে কার মুখে ফুঠে জ্বয়ের হাসি। দিন শেষে কার হাতে উঠে আগামী ৫ বছরের জন্য ইউনিয়নের নতুন দায়িত্ব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd