সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানী থেকে মুক্তি চায় উপজেলার ১২ গ্রামের মানুষ। জনগণের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধির বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে এ হয়রানীর করছেন। বন কর্মর্তা কর্মচারীদেও অযথা হয়রানীতে এলাকার কৃষক শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫নং উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের ৪,৭,৮ ও ৯ ওয়ার্ডের নওয়াগাও,বতুমারা,বিজয় পাড়ুয়া হাওর, উত্তর জাঙ্গাইল, সালদিগার কান্দি, রণিখাই, দিগলবাকের পার, ফেদারগাও, লামাডিক্সি বাড়ী, কাকুরাইল, মনুরপার, ললিকান্দি মৌজার কৃষক-শ্রমিক, অসহায় বিত্তহীন জনসাধারণ সিলেট জেলা পরিষদের বন্দোবস্তীয় ও বন্দোবস্তের আবেদিত জায়গার উপর কৃষিকাজ করেন এবং গোবাদি পশু চরিয়ে থাকেন। সম্প্রতি বনবিভাগের কথিত “রনিখাই বিট” কর্মীদের নির্যাতনে তারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় ৫নং উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান বাংলাদেশ বনবিভাগের রনিখাই বিটে বসবাসকারী কৃষক শ্রমিক দিনমজুরের মালিকানাধীন ও জেলা পরিষদের জায়গায় বন বিভাগ বিট কর্মকর্তাদের অনধিকার চর্চা ও হয়রানির বিষয়টি আলোচনায় আনেন। এতে বন বিভাগের বিট কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে কোন প্রকার সীমানা নির্ধারণ ও অবগতি না করেই কৃষকের রোপিত বোরো ফসলের মাঠে, ধানের জমিতে এমনকি বসতবাড়ির যেখানে সেখানে লাল ফ্লেগ টাঙ্গিয়েছেন। চলমান বোরো মৌসুমে জেলা প্রশাসকের নামীয় এবং কৃষকের দখলীয় ও প্রস্তাবিত জমিতে চাষাবাদ এবং গোবাগি পশুচরাতে দিচ্ছে ন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে হামলা মামলার হুমকি দিচ্ছেন তারা। এমন অবস্থায় এলাকাবাসী জনসাধারণের জীবন-যাপন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নির্মম অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এলাকার সচেতন মহল ও সুধী সমাজ সরকার ও প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
৫ নং উত্তর রণিখাই ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, বন বিভাগের বিট কর্মকর্তাদের হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তার ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ। তাদের হয়রানিতে সাধারণ জনগনের বসবাস ও জীবন যাপন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি আমি উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় আলোচনায় তুলে ধরলে তারা আরো ক্ষিপ্ত ও বেপরোয়া হয়ে উঠে। কোন প্রকার সীমানা নির্ধারণ এবং নোটিশ ছাড়াই তারা মালিকানাধীন বসতভিটায় এবং আমন ও বোরো ধানের ফসলি জমিতে লাল ফ্লেগ পুতে দিয়ে সাধারণ জনগণকে মামলা হামলার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরো জানান, উজেলার বতুমারা মৌজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নামীয় ১নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ১০৪ দাগ হাল ১২৫ দাগে ১৪৪ একর সাইল রকম জমির মধ্যে ১৪.৪৭ একর জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে এবং বাকী ১২৯.৫৩ একর জমি খাস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ আছে। এই দাগে দকলমূলে শতাধিক বন্দোবস্তুীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। অন্যান্য মৌজা জমিগুলোর ঠিক একই অবস্থা। বন বিভাগের কোন জায়গা সাধারণ মানুষের দখলে নেই। বিগত সেটেলমেন্টের জরিপে ওই জায়গা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা পরিষদের নামে রেকর্ড ভূক্ত রয়েছে। তারপরও বন বিভাগের কর্মকর্তারা বসবাসরত সাধারণ মানুষকে কেন হয়রানি করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।এই অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষ পরিত্রাণ চায়, এর একটি সুন্দর সুরাহা চায় তারা। বিষয়টির প্রতি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, সিলেট রেঞ্জ বন কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ জানান, আমারা কাউকে হয়রানি করছি না, বনবিভাগের জায়গায় বনায়ন রয়েছে সেখানে কেউ গরু চরালে আমাদের বিট কর্মকর্তারা বনায়ন রক্ষায় তাদের বাধা প্রদান করে। রণিখাই বিটে বন বিভাগের প্রচুর জায়গা রয়েছে। এ বছর আমরা সেখানে ২শ’ হেক্টর জায়গা বনায়ন করব এবং আরো ১২ হাজার একর জায়গা বনায়নের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। আমরা বনবিভাগের জায়গায় লাল ফ্লেগ পুতে দিয়েছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd