সিলেটে যৌনহেনস্তার শিকার লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্রী : গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২২

সিলেটে যৌনহেনস্তার শিকার লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্রী : গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে গিয়ে যৌনহেনস্তার শিকার লিডি্ং ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় বান্ধবীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন- নির্যাতিতা ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়া ও তার চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮) এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবু আহমদ (৩৫)। এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত আবু আহমদ ও সোনিয়াকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলার অপর আসামী আবদুল হাই এখনো পলাতক ও আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তল্লাশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলের বাসা থেকে কিছু মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে তদেও বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা করেছে।
জানা যায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার তরুণী সোনিয়া বেগম তার প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮)-এর হাতে কৌশলে ওই ছাত্রীকে তুলে দেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সোনিয়া ওই ছাত্রীকে জানান, তার চাচা-চাচি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন। নগরীর একটি বাসায় তারা থাকছেন। তাঁদের বাসায় সোনিয়া বুধবার রাতে থাকবেন। ওই ছাত্রীকেও (ভিকটিম) তার সঙ্গে থাকতে জোর খাটান তিনি। বান্ধবীর আবদারে তার সঙ্গে ওই বাসায় যান ভার্সিটির ওই ছাত্রী (২১)। কিন্তু সেখানে চাচা-চাচি নন, ছিলেন ওই বান্ধবীর যুক্তরাষ্ট ্রপ্রবাসী চাচাতো ভাই। কিছুক্ষণ পর ওই প্রবাসী আবু আহমদ নামে তার এক খালাতো ভাইকে ওই বাসায় ডেকে আনেন। পরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক কক্ষে প্রবাসী ও তাঁর খালাতো ভাই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ওই ছাত্রী সেই কক্ষ থেকে দৌঁড়ে গিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি তাঁর এক সহপাঠীকে জানান।এরপর ওই সহপাঠীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে তাকে ওসিসিতে প্রেরণ করে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়া ও প্রবাসীর খালাতো ভাই আবু আহমদ (৩৫)-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সোনিয়ার প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮) পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অভিযোগ পাওয় গেছে, সোনিয়া নিজেও নানা নৈতিক কাজে লিপ্ত। সে বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে সে অনেক ছাত্রী ও তরুণীর সর্বনাশ ঘটিয়েছে। মদক বেচাকেনার পাশপাশি মোটা অংকের টাকার লোভে সে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকলেও মান-সম্মানের ভয়ে অনেক ছাত্রী ও তরুণী মূখ লোলেন নি। তাই সোনিয়াকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাদকসহ নারী ব্যবসার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বিল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

January 2022
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..