সিলেট ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বৃদ্ধি পেয়েছে সিলেট নগরের প্রাণকেন্দ্রে মাদকের ছোবল। নগরীর কাস্টঘর এখন ‘মাদকের হাট’। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় রকমফের নেশাজাত দ্রব্য। চোলাই মদের জন্য বিখ্যাত এলাকা সুইপার কলোনিকে ঘিরেই নেশাদ্রব্যের সব আয়োজন মাদক সম্রাট রতন-এর। রতনই হচ্ছে কাস্টঘরের মাদক সম্রাজ্যের মূল নিয়ন্ত্রক। কাস্টঘরের সরকারী ভবনে থাকা মাদকসম্রাট রতন এখন বিশাল টাকার মালিক। মাদক মামলায় এ পর্যন্ত ৮ বার জেলে গেছে রতন। কিন্তু বাদ দেয়নি মাদক ব্যবসা। বন্ধ হয়নি তার মাদক আড়ৎ। সুইপার হওয়ার সুবাদে নিজ এলাকার সুইপারদের মধ্যে পাট্টার মদ সরবরাহের আড়ালে রমরমা হয়ে উঠেছে রতনের রকমফের দেশি বিদেশী মাদকের ব্যবসা। সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীরা এখানে এসে ভিড় জমায়। মদ পান করে রাস্তায় মাতলামি করে অনেক মাদকসেবী। সিলেটের সীমান্ত এলাকার মাদক চোরাচালানীদের চোরাই পথে আনা মাদক সামগ্রী রতনের কাছেই জমা হয় এবং থেকেই সাপ্লাই হয় বিভিন্ন স্থানে। রতনের মেয়ে নুপুর এবং রতনের ব্যবসায়িক সহযোগী শান্তি তার মাদক হাট পরিচালনা করে। মাদক সম্্রাট রতন একাধিকবার গ্রেফতার হলেও মাদক মামলার তদন্ত ও আইনের ফাঁক ফোকরে বার বার সে বেরিয়ে আসে। সম্প্রতি একটি মাদকমামলায় সে উচ্চ আদালতের জামিনে এসে আবারো বেপরোয় হয়ে উঠেছে।
সূত্র মতে কাস্টঘরের রতনের মাদক হাটে আমদানী নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, ভারতীয় অফিসার চয়েস মদ, হেরোইন, গাঁজা, কোকেন, এমনকি বিদেশী আইস মাদকও বিক্রি হয়ে থাকে। রতনের মাদক ব্যবসাার নেটওয়ার্ক শুধু সিলেট নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের মায়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। মায়ানমার সীঢমান্ত পথ দিয়ে আসা বদেশি রতনের আড়ৎ থেকে সিলেট বিভাগের সর্বত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
ফলে নগরের কাস্টঘরের সুইপার কলোনি পরিণত হয়েছে ক্রাইম জোনে। সন্ধ্যা নামলেই ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয় ওখানে। নেশার রাজ্যে পরিণত হয় কাস্টঘর। পাশেই বাণিজ্যিক এলাকা মহাজনপট্টি। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই মাদকসেবী মাতালদের ভয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে সরে পড়েন। কাস্টঘরের সুইপার কলোনি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগের অন্তঃ নেই। এ নিয়ে বহু আন্দোলন করেছেন, দাবিও জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ঘুম ভাঙেনি আনশৃঙ্খঅ বাহিনীর। বরং নীরবে অনেকেই কাস্টঘওে মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে যাচ্ছেন। আর এদের প্রধান শেল্টারদাতা হচ্ছে কাস্টঘরের জুয়ার বোর্ডের মালিক রানা। রানা স্থানীয় পুলিশকে ম্যানেজ করে তার জুয়ার বোর্ড চালায়। পাশাপাশি রতনের মাদক হাটেরও তদারকী করে সে। প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের উদ্যোগে অতীতে কয়েকবার অভিযান হলেও স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ থাকে সবসময় নিরব। অভিযোগে পাওয়া গেছে, ফাড়ি পুলিশ ও সাংবাদিক নামধারী কতিপয় চাঁদাবাজ রতনের মাদক হাট ও রানার জুয়ার বোর্ড থেকে নিয়মিত বখরা পেয়ে থাকে। তাই নগরবাসীর প্রশ্ন মাদক সম্্রাট রতনের খুটির জোর কোথায় ?
এ ব্যাপারে রতনের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে সে মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করে। তবে অনুমোদিত দেশীয় মদ ছাড়া অন্য কোন প্রকাপর মদ সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd