সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানীকর তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সত্যতা প্রকাশ পেয়েছে। আলফাত নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ পায়।
ইরাক প্রবাসী আলফাত নুর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের বাডিসন্দা। মামলা সূত্রে জানা যায় মোঃ আলফাত মিয়া একজন প্রবাসী, দীর্ঘ ৬ বছর যাবত প্রবাসে আছেন। পূর্বে তিনি অভিযোগকারী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আসক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগের সভাপতি রাকিব আল মাহমুদ’এর হাত ধরেই সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। সংগঠন এর নাম দিয়ে আলফাত অনেক অপকর্মের সাথেও যুক্ত হয়ে পড়েন বওে অভিযোগ রয়েছে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সংগঠন সদস্য হওয়ার অভিযোগ এছাড়াও আলফাতের বিরুদ্ধে কয়লা ব্যবসার কথা বলে মামলার বাদী রকিব আল মাহমুদের থেকে নেওয়া অর্থ আত্মসাত সহ বিভিন্ন লোকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এসব অপকর্মের তথ্য আসতে থাকলে এক পর্যায়ে সংগঠনের পদ হারান আলফাত। শুরু করেন সংগঠনের সিলেট বিভাগের সভাপতি রাকিব আল মাহমুদ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার। একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই আইনের দারস্থ হন সংগঠনটির সিলেট বিভাগের সভাপতি রাকিব আল মাহমুদ। আলতাফ নূরের বিরুদ্ধে সিলেটস্থ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫, ২৬, ২৯, ৩৫ ধারায় মামলা (সাইবার পিটিশন নং-৮৯/২০২১ খ্রিঃ) করেন রাকিব আলঅ মাহমুদ। মামলাটি তদন্ত কওে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এসএমপি’র শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশকে নির্দেম দেন ট্রাইব্যুনাল।তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সাইবার ট্রাইবুনাল সিলেটে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহপরান (রহঃ) থানার এস আই আই মোঃ সুহেল রানা। গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ আবুল কাশেম প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আলফাতের বিরুদ্ধে সমন জহারি করেন।
এবিষয়ে আসক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগের সভাপতি ভুক্তভোগী রাকিব আল মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসলে খুব সহজেই মিথ্যাচার করা সম্ভব, এতে করে অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারেন না সঠিক কি না।ফলে আমদের মতো মানুষেরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হয়। আমি মনে করি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এক্ষেত্রে অনেকটা নিরাপত্তা দেবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্য কোন মানুষকে হেয় করা ও মিথ্যাচার করা এবং আমার মতো আর কারো যাতে এভাবে মানহানী না ঘটে এ জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিবাদীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি কামনা করছি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ইং এর ২৫,২৬,২৯,৩৫ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে কি পরিমাণ শাস্তি প্রদান করা হয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহঃ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান খন্দকার রানা বলেন, যেহেতু এই ধারা গুলোয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে এবং সে গুলা প্রমাণিত। তাই এই মামলা দ্রুত নিস্পত্তি হবে, যার দন্ড হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল এবং ৭ লাখ টাকা জরিমানা জরিমানা সর্বনিম্ন ৩ বছরের জেল হতে পারে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd