সিলেট ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নোয়াখালীতে তরুণীটি পরিবারের কাছে কেমন আছেন বিলকিস। নোয়াখালী সদর উপজেলার একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন সাংবাদিকরা।
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রী আঁখির কাছে প্রেমের টানে ছুটে যাওয়া নোয়াখালীর তরুণীকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়ার পর তিনি উদভ্রান্ত আচরণ করছেন। নিজের হাত কেটে করেছেন রক্তাক্ত। তাকে মানসিক চিকিৎসকের কাছে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পরিবার।
স্কুলছাত্রীর প্রেমের টানে নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইল যাওয়া ওই তরুণীকে মঙ্গলবার তার পরিবারের কাছে তুলে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে মেয়ে দুটির মধ্যে যেন আর যোগাযোগ না থাকে তা নিশ্চিত করতে দুই পরিবারকে নির্দেশ দেয়া হয়।
নোয়াখালীতে তরুণীটি পরিবারের কাছে কেমন আছেন, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে সাংবাদিকরা। নোয়াখালী সদর উপজেলার একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
মেয়েটির দিনমজুর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা একেকজন একেক কথা বলে। গতকাল (বুধবার) মেয়েটা বাথরুমে ঢুকে নিজের হাত কেটেছে। পরে এক ডাক্তার দেখানোর পর তিনি মানসিক ডাক্তার দেখাতে বলেছেন। মেয়েকে আমরা মানসিক ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাব।’
তিনি বলেন, ‘সবারই সন্তান আছে। কার ছেলেমেয়ে কী হবে কেউ জানে না। আমার মেয়েটার এমন হয়েছে তা যদি অন্য কারও হয় তাহলেও করার কিছু নাই। সবার পক্ষে তাদের ছেলেমেয়েকে দেখে রাখা সম্ভব হয় না।’
তরুণীর মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাসখানেক আগেও আমাদের মেয়ে ওই মেয়ের (টাঙ্গাইলের স্কুলছাত্রী) সঙ্গে সিরাজগঞ্জ চলে যায়। পরে ওখানকার গ্রামবাসী খবর দিলে পুলিশের সহায়তায় আমার ছেলে তাকে নিয়ে আসে।
‘গত সোমবার পাশের বাড়ি থেকে ডিম কিনতে গিয়ে আবারও পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাজারের ব্যাগে করে পরনের কাপড় নিয়ে যায়। এবার আমরা বলেছি তাকে আর আনব না। পরে চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে এনেছি।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) সকালে ভাত ও ওষুধ খাওয়ার পর সে ঘুমায়। দুপুরে বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নিজে হাত কেটে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হয়। আজ সকাল থেকে সে স্বাভাবিক আছে।’
ওই তরুণীর সঙ্গেও কথা বলেছে। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে টাঙ্গাইলের মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় হয়। এক মাস আগে সে ঢাকায় আসলে আমি নোয়াখালী থেকে ঢাকায় দেখা করি। এরপর ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ চলে যাই। পরে আমার পরিবার ওখান থেকে নিয়ে আসে।
‘আমার কাছে ওর ফোন নম্বর ছিল। পরে আমার ভাবির ফোন থেকে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমাকে টাঙ্গাইল যেতে বলে। টাঙ্গাইল থেকে আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে যায়।’ মেয়েটির সঙ্গে আলাদা কথা বলতে চাইলে তার মা বাধা দেন।
নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি জানান। আমি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারকে জানাই। পরে তারা মেয়েটিকে নিয়ে আসে। বর্তমানে মেয়েটি তার পরিবারের সঙ্গে আছে।
‘যেহেতু মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে আছে, যেকোনো সুবিধা-অসুবিধা হলে তারা আমাদের জানাতে পারবেন। আমরা তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd