সিলেট ১লা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের শাহী ঈদগাহে নিজের খরিদা জমি রক্ষায় প্রশাসনের ধারে-ধারে ঘুরছেন প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন, হচ্ছেন নানা রকম মিথ্যা মামলার আসামী। তিনি শাহী ঈদগাহ এ/৮৬ আবাসিক এলাকার মৃত নিমার আলীর ছেলে (৪৫)। ২০১৮ সালে জমির প্রকৃত মালিক সুয়েবুন নবী ও তার আমমোক্তার আশরাফের কাছ থেকে গিয়াস ও তার ছোট ভাই মুহিব ও ফিরোজ খানের ছেলে মুক্তাদির খাঁন একত্রিত ভাবে শাহী ঈদগাহে ২৫ শতক জমি ও কয়েকটি দোকান ক্রয় করেন। যাহার এস.এ মালিক থেকে সর্বশেষ বিক্রেতার সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে আমাদের কাছে। জমির তফসিল: মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার জে.এল নং এস.এ ৯১, বিএস-৭৬, ছাপা খতিয়ান নং-২৬১৩, নামজারী খতিয়ান নং-১৭১২৯, বি.এস খতিয়ান নং ১৩০০৬, এস.এ দাগ নং-১০১৬৭ বিএস দাগ নং ৮০৬০,৮০৬১,৮০৬২ ও ৮০৬৩। যাহার দলিল নং ৮৬০৭/১৮ তারিখ ১৪/১০/২০১৮ ইং। ক্রয়কৃত জমির একটি দোকানে ব্যবসা করতেন শাহী ঈদগাহের মৃত ফিরোজ খানের মেয়ে রায়হানার স্বামী আরিফ আহমদ (৪০)। তিনি মাদারীপুর জেলার বাসিন্ধা। গিয়াস উদ্দিন ভাড়াটিয়া আরিফের কাছে ক্রয়কৃত দোকানের মাসিক ভাড়া চাইলে আরিফ তার সহযোগীদের নিয়ে সঙ্গবদ্ধ ভাবে গিয়াসের কাছে উল্টো ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে বসেন। এর প্রেক্ষিতে গিয়াস একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন সিলেট কোতয়ালী সি,আর ৩৩৬/২০২২ ইং। শুধুমাত্র ২০১৮ সালে ঐ জমি ক্রয় করার অপরাধে গিয়াসের ছোট ভাই অপর ক্রেতা মুহিব উদ্দিনকে শাহী ইদগাহ থেকে অপহরণ করে অমানষিক নির্যাতন করে মুক্তিপন আদায় করে আরিফগং। এ ঘটনায়ও কোতয়ালী থানার মামলা নং ০৯(৫-৫-২০১৯)ইং, এখন আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। চাহিদা মতো ১ কোটি চাঁদা না পেয়ে ফারুক খান, মুমিন খান ও তাদের বোন জামাই আরিফ আহমদ জমির ক্রেতা গিয়াস উদ্দিনগংদের উপরে একাধিকবার হামলা চালায়। গত ২০ মার্চ বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ টার দিকে গিয়াসের ছোট ভাই মুহিব কোতয়ালী থানা থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে তার উপর অর্তকৃত হামলা করে সাথে থাকা জমির সকল দললাধী, একটি চেকবই, তার ব্যবহৃত প্রাইভেট গাড়ির চাবি ছিনতাই করে নিয়ে যায় আরিফগং। যা পরে আশেপাশের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উক্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই গিয়াসের দায়ের করা চাঁদাবাজী মামলায় পালাতক আসামী ফারুক খান সিলেটে আদালতে গিয়াসগংদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যা পরে এজাহারের ঘটনার সময় ও স্থানীয় সিসিটিভির ফুটেজে প্রমান পেয়েছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে গিয়াসগংকে হয়রানী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আরিফচক্র। অপর দিকে গিয়াস উদ্দিনগংকে বে-কায়দায় ফেলতে আরিফগং ও তাদের সহযোগীরা ঐ জমি নিজেদের দাবী করতে থাকেন। জমি সংক্রান্ত তাদের কোন দলিল-ফর্সা নেই। তারা মালিক হিসাবে যুক্তি দাড় করায় ওই জমিতে তাদের নামে ৮টি গ্যাস লাইন, ১৫টি বিদ্যুৎ মিটার, ২টি পানির লাইন, ১১টি সিটি হোল্ডিং নম্বর নিয়ে ৫৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। কিন্তু তাদের নিজেদের জমির মালিকানা স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র তাদের কাছে নেই। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে এবং থানায় একাধিকবার বৈঠক হলেও মালিকানা স্বপক্ষে জমির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি মৃত ফিরোজ খানের উত্তরাধিকার দাবীদার আরিফ-ফারুক চক্রটি। তবে তারা বারবার ৯৯৯ ত্রিফুল নাইনে কল দিয়ে পুলিশকে বিব্রত করলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের অভিযোগের কোন সত্যতা না পেয়ে ফিরে আসছে। এক কথায় থানা পুলিশও তাদের এহেন কর্মকান্ডে বিব্রত। তদন্তকালে জমির প্রকৃত ক্রেতা গিয়াস উদ্দিনগংদের ক্রয়ের দলিলাধীর প্রমান পাওয়ার পর পুলিশ বারবার ঘটনাস্থলে গিয়ে উল্টো হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, ফারুক খানের বোন জামাই আরিফ আহমদ একজন পরোধন লোভী, তার বাড়ি ঘর ঐ এলাকায় না হলেও শশুরবাড়িতে বসবাস করে এলাকায় নানা ফেৎনা সৃষ্টি করে। তার নেতৃত্বে ঈদগাহে একটি সঙ্গবদ্ধ চাঁদাবাজ, জবর দখলবাজচক্র গড়ে উঠেছে। কারো সাথে কোন রকম ঝামেলা হলেই ঘরের নারী সদস্যদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে নানা রকম হয়রানি করে থাকে। এমন কি শহরের সকল আওয়ামী লীগ নেতাকে তার নানা রকম আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ফেইনবুক লাইভে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
কাগজপত্র যাচাই করে প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে গিয়াসগং ঐ জমির ক্রয় করেন। ক্রেতা মালিক হিসাবে ন্যায় বিচার পেতে তিনি এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, প্রবাসী সিকিউরিটিসেল, প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয়, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট জেলা প্রশাসক, ,উপপুলিশ কমিশনার উত্তর জোন, এসএমপি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিলেট সদর, ওসি কোতয়ালী মডেল থানা, ওসি এয়ারপোর্ট থানা ও এসিল্যান্ড সিলেট সদর বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।
অপর দিকে ফারুক ও আরিফগং নিজেদের অবৈধ ফায়দা হাসিল করতে না পারায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নানা রকম মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে দূষারোপ করে যাচ্ছে। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময়ে সিলেটের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সিলেটে তাদের অপপ্রচারের কোন সুবিধা করতে না পেরে এবার ঢাকায় বসে সংবাদ সম্মেলন করে নানা রকম মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের অপপ্রচারে ছাড় পাচ্ছেন না সিসিকের মেয়র থেকে শুরু করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোন নেতাই।
এ বিষয়ে জমির ক্রেতা গিয়াস উদ্দিন বলে, ফারুক খান, আরিফ খানসহ মৃত ফিরোজ খাঁনে উত্তরাধিকার দাবীদার যারা আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি তাদের বলবো, তাদের সুবিধামতো যে কোন জায়গায় তাদের মালিকানা স্বপক্ষে উক্ত জমির কাগজপত্র যদি থাকে? তা নিয়ে আলোচনায় বসতে। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের যে কোন দপ্তরে বসতে চাইলে আমি সব সময় প্রস্তত আছি। কারণ আমি কষ্টের টাকা দিয়ে কাগজপত্র যাচাই করে প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে জমি ও দোকান ঘর ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছি। প্রকৃত পক্ষে উক্ত দাগ ও খতিয়ানে তাদের কোন জমি নেই, বরং ফিরোজ খাঁনের বাড়ির ভিতরের অংশে সরকারের খাস খতিয়ানের অনেক জমি রয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে পাবেন। সেটি রক্ষার অপকৌশল হিসাবে তারা আমার ক্রয়কৃত জমি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি অন্য দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে মাত্র।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd