সিলেট ১লা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশে বিদেশে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র খ্যাত ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর থেকে প্রতিদিন রাতে চুরি হচ্ছে পাথর।মামা ভাগ্নের নেত্তৃতে পাথর চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।গত রাতে পাথর চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
উপজেলার ভোলাগঞ্জ গ্রামের আব্দুস শহীদের পুত্র মোহাম্মদ আলীকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।মামলার বাদী হয়েছেন এস,আই সুকোমল ভাট্টাচার্য।মামলার নং ০৪। মামলায় অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে দক্ষিণ রাজনগর গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র আব্দুল আলীম, নতুন রাজনগর গ্রামের বাছির মিয়ার পুত্র রুহুল আমিন,দক্ষিণ রাজনগর গ্রামের খলিল মিয়ার পুত্র বাবুল মিয়া,কলাবাড়ি আদু মোল্লার পুত্র কামরুল কালীবাড়ি গ্রামের মুখলেছ মিয়ার পুত্র রাসেল আহমদ,নতুন রাজনগর গ্রামের আইনুল হক।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাথরবাহী একটি ট্রাক্টরসহ পাথরদস্যু চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে। উপজেলার স্থানীয় কলাবাড়ি ভাই ভাই স্টোন ক্রাশার মিল থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়- পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সাহাব উদ্দিন ও তার ভাগ্নে রাসেলের নেতৃত্বে গত এক সপ্তাহ ধরে রাতের আধারে পর্যটন কেন্দ্র’র সাদাপাথর লুট করা হচ্ছে। প্রতিরাতে শতাধিক বারকি নৌকা দিয়ে পাথর চুরি করে তা স্থানীয় বিভিন্ন স্টোন ক্রাশার মিলে বিক্রি করছে লুটেরাচক্র। সাহাব উদ্দিন ও রাসেল গত এক সপ্তাহে বারকি নৌকা দিয়ে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকার পাথর চুরি করেছে বলে সুত্র জানিয়েছে। পুলিশ ও বিজিবির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সাহাব উদ্দিন ও তার ভাগ্নে রাসেলের নেত্তৃতে এ অপকর্ম চলছে। অভিযোগ রয়েছে গত বর্ষায় ধলাই নদীতে বালু উত্তোলনের সময় ৪/৫ কোটি চাঁদা আদায় করেছে সাহাব উদ্দিন চক্র। নদী থেকে বালু কিংবা পাথর উত্তোলন করতে চাইলেই গুনতে হবে টাকা। চাঁদার টাকা না পেলে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়।
সোমবার দিবাগত রাতে শতাধিক নৌকা দিয়ে পাথর লুট করা হয় এবং লুণ্ঠিত পাথর ভাই ভাই স্টোন ক্রাশার মিল সহ স্থানীয় কয়েকটি মিলে বিক্রি করা হয়।
খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ভাই ভাই ক্রাশার মিল থেকে পাথরভর্তি একটি ট্রাক্টরসহ মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল আলিম নামে দুইজনকে আটক করেন।
পাথরবাহী ট্রাক্টর জব্দ ও দুইজনকে আটকের পর ৭ জনকে আসামী করে মামলার পরপরই স্থানীয় একাধিক মিল মালিক জানান, মামলায় নিরিহ কয়েকজনকে ফাসানো হয়েছে। এদের মধ্যে আব্দুল আলীম ও আইনুল হক অন্যতম । আব্দুল আলীম ভাই ভাই স্টোন ক্রাশার মিলের ম্যানেজার হলেও পাথর চুরির সাথে জড়িত নয় বলে জানান মোর্শেদ আলম নামের এক পাথর ব্যবসায়ী। এছাড়াও আইনুল হক নামের এক ব্যক্তিকে অযতা আসামী করা হয়েছে।। পাথর চুর চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড ভাগ্না রাসেলকে আসামী করে প্রধান হোতা সাহাব উদ্দিনকে কৌশলে বাদ দেয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী মঙ্গলবার রাতে জানান, লুণ্ঠিত সাদাপাথরসহ একটি ট্রাক্টর জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেউ জড়িত না থাকলে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, সাদা পাথর চুরি বন্ধে সচেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। পাথর ক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন স্টোন ক্রাশার মেশিন মালিকদেরকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd