সিলেট ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গোয়াইনঘাট উপজেলার এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তব্য পালনে গাফিলতি, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, ছাত্রছাত্রী-অভিভাবকদের সাথে অসৌজ্যনমূলক আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই সহকারী শিক্ষকের নাম মো. জিয়াউর রহমান। তিনি উপজেলার ৮নং তোয়াকুল ইউনিয়নের লক্ষীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং সদ্য প্রতিষ্ঠিত পূর্ব তোয়াকুল গাংকিনারী বাজার পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক। এছাড়া তিনি জেলা শিক্ষক সমিতির পদবীতে রয়েছেন। এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে কর্ম সৃজন কর্মসূচী ২য় পর্যায়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
গত ৩১ মার্চ গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুলবাজার ইউপি’র লক্ষীনগর গ্রামের মঈন উদ্দিন, একই গ্রামের মন্তাজ আলী ও আজমত উল্লাহ সহ ৮৫ জন স্বাক্ষরিত অত্র স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর ভুক্তভোগী অভিভাবকদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া লিখিত অভিযোগের অনুলিপি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করা হয়। লিখিত অভিযোগে তারা অনুসন্ধান পূর্বক উক্ত শিক্ষককে অন্যত্র বদলীসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন করেন।
অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, অত্র বিদ্যালয়ে কর্তব্যরত সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান, পিতা মৃত মবাশি^র আলী। তিনি কর্তব্য পালনে চরম অনিয়ম প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। বিগত সময়ে ঐ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মহোদয়কে মৌখিকভাবে অবহিত করলেও এর আশানুরূপ কোন প্রতিকার না পেয়ে অভিভাবকবৃন্দ অত্যন্ত নিরুপায় হয়ে লিখিত আবেদন করতে বাধ্য হয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, জিয়াউর রহমান লক্ষীনগর গ্রামের বাসিন্দা। অত্র বিদ্যালয়ে যোগদানের প্রথম দিকে কর্তব্য পালনে মনোযোগী হলেও বর্তমানে চরম অবহেলা ও অনিয়ম করে যাচ্ছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত কাজ, ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রচলিত ভিলেজ পলিটিক্স এর সাথে জড়িত হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া তিনি নিজেকে শিক্ষক নেতা হিসেবে প্রদর্শন করেন, যার ফল স্বরূপ প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে তেমন একটা গ্রাহ্য করেন না। তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন না। যতদিন আসেন দু’একটি ক্লাস করলেও ছাত্রছাত্রীদের সাথে অসৌজ্যনমূলক আচরণ করেন। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে কোন অভিভাবক স্কুলে গেলে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং সুযোগ মতো অভিভাবকদের নিকট থেকে টাকা পয়সাও দাবি করেন। জেলা শিক্ষক সমিতির পদ পদবীতে থাকার কারণে ঐ সমস্ত কাজে ব্যস্ত থাকায় পাঠদানে তিনি অমনোযোগী এবং সদ্য প্রতিষ্ঠিত পূর্ব তোয়াকুল গাংকিনারী বাজার পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক পদে দায়িত্বে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বাজারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এখানে প্রকাশ থাকা আবশ্যক যে, ৮নং তোয়াকুল ইউপি’র অন্তর্গত লক্ষীনগর হতে পূর্ব তোয়াকুল উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজের বরাদ্দ ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য কর্ম সৃজন কর্মসূচী ২য় পর্যায় এর তিন লাখ ২০ হাজার টাকা তিনি আত্মসাত করেন। এব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর দরখাস্ত প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের সন্তানরা তাদের প্রাপ্য শিক্ষাদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd