সিলেট ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২২
সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানাদ্বয়ের দুই অফিসার ইনচার্জকে জড়িয়ে জেলার গোয়াইনঘাট এলাকার বালুমহাল ইজারাদারদের বিরুদ্ধে অহেতুক অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার এ অপ-প্রচারের জেরে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বালু ব্যবসায়ীরা।
একটি চাঁদাবাজ মিডিয়ার অপপ্রচারে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকার ও প্রশাসনের। পাশাপাশি মান-সম্মান ও ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে বৈধ বালু ব্যবসায়ীদের। এহেন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সেক্রেটারী সারোয়ার ও অন্যান্য বৈধ বালু ব্যবসায়ীগন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধ ফাঁয়দা হাসিলের একটার পর একটা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে একটি স্থানীয় পত্রিকা। জিম্মি করতে চেয়ে ব্যবসায়ীদের।
অভিযোগে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন – ১২ মে বৃহস্পতিবার ও গত ১ মে স্থানীয় একটি দৈনিকে “সিলেটের নৌপথে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি, চাঁদা তোলেন গোয়াইনঘাটের ওসির লোক, নিরাপত্তা দিয়ে বিশেষ সুবিধা নেন কোম্পানীগঞ্জের ওসি” পৃথক পৃথক শিরোনামে একটি মানহানীকর ও বিভ্রানিতকর সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ব্যবসায়ীরা জানান- তারা সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ১৪২৯ বাংলা সনের জন্য ২ কোটি ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে ১১৭ নং গোয়াইনঘাট-চেঙ্গেরখাল নদী বালুমহাল, ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যে সিলেটের সারী বালুমহাল-১ এবং ১ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যে আশুগঞ্জ ভৈরব বাজার নদী বন্দরের সিলেট জেলার অংশ বাউরবাগ (বাংলাবাজার)-রাণীগঞ্জ ডাকিনি নদী, গোয়াইন নদী ও চেঙ্গরখাল নদীর উভয়তীরে ১ জুলাই ২০২১ ইংরেজি থেকে ৩০ জুন ২০২২ ইংরেজী পর্যন্ত সময়ে জন্য বালু উঠানো, বালু-পাথর সমুহের শল্ক ও নৌযান পরিবহণ সমুহের বার্ণিং চার্জ আদায়ের নিমিত্তে ইজারা গ্রহণ করেছেন। ইজারাচুক্তি সমুহের শর্তপূরণ করে তারা নির্ধারিত হারে বৈধভাবে টোল শুল্ক ও বার্ণিং চার্জ আদায় করে আসছিলেন।
ইত্যবসরে সিলেটের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের চাঁদাবাজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবে এবং আমাদেরকে শুল্ক ও বর্ণিং চার্জ আদায় করতে দেবে না, এমনকি সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলবে বলে হুমকি দেয়। আমরা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই সংবাদমাধ্যম কর্তৃপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদমূলক নানা অপপ্রচারে মেতে ওঠে। আমাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ক্ষেপিয়ে তোলার হীন মনসে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশকে জড়িয়ে চাঁদাবাজির নানা মিথ্যা ও কল্পকাহিনী প্রচার করতে শুরু করে। যার ধারাহিকতায় ১ মে তারিখের উল্লেখিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবসায়ীরা জানান- টেন্ডারের সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে আমার সরকারের কাছ থেকে বালুমহাল-নদী ইজারা নিয়ে বৈধ ব্যবসা করছি, পুলিশও বালুবাহী ভলগেটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে। এতে চাঁদাবাজি বা টাকা লেন-দেনের কোন প্রশ্নই ওঠে না। সংবাদে প্রকাশিত এহেন তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং হীন উদ্দেশ্যে প্রনোদিত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবসায়ীরা বলেন- গণমাধ্যমটির এহেন অপপ্রচারে আমাদের এবং দুই থানার পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীগন এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি এহেন অপপ্রচারকারী গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা অচিরেই আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd