“মনের আয়নায় বন্যা” : লেখক অমিতা বর্দ্ধন

প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২২

“মনের আয়নায় বন্যা” : লেখক অমিতা বর্দ্ধন

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক:: মানব কবি চন্ডিদাস বলেছিলেন ” শোন হে মানুষ ভাই সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ”। যুগে যুগে ধরাধামের মহামানবগন মানব সেবারই জয়গান গেয়েছেন তাঁদের অমর গাঁথা বাণীর মধ্য দিয়ে , যেমন স্বামী বিবেকানন্দও বলেছেন – ‘ জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সে বিচে ঈশ্বর ,শিব জ্ঞানে জীব সেবা ‘।

নদী মাতৃক আমাদের দেশ। এই নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে আমাদের জীবন জীবিকা বিশেষ করে ভাটি অঞ্চল। কবি সাহিত্যিক গন তাঁদের লিখনির উৎস হিসাবে নিয়েছেন জল – নদী – সাগর, গাছ – গাছালি সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেকে নিয়ে । এই সব সৌন্দর্যয়ে ভরপুর আমাদের দেশ । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ তা অনেক খানি বিলুপ্তির পথে। বিশেশজ্ঞদের মতে নদীর এই হ্রাস অদুর ভবিষ্যতে মহা বিপদ ডেকে আনবে যাহা এখনই আমরা সে ইঙ্গিত পেতে চলেছি । বিজ্ঞ মহলের মতে নদীর নাব্যতা হারিয়েছে এবং অপরিকল্পিতভাবে হাওরে বাঁধ নির্মাণমানে হাওর দখল ই মূলত বন্যার কারন । তাই এবারের বন্যার চেহারা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে । বিশেষ করে সিলেট সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ যেন সাগরে পরিণত।সমগ্র এলাকা পানিতে সয়লাব প্রবল পানির স্রোতে মানুষষের ঘর- বাড়ি, আসবাব পত্র ও গবাদি পশু সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে । তাহাতে অনেক বৃদ্ধ ও শিশুদের মৃত্যু ও হয়েছে । সিলেটেরেই বন্যা ১৯৮৮ সাল কেও হার মানিয়েছে । স্মরণ কালের শ্রেষ্ঠ বন্যা যা বহিঃবিশ্বে রেকর্ড স্থাপন করেছে। বিদ্যুৎ , সড়ক যোগাযোগ ও নেট বন্ধ হওয়ার কারনে ভুতুড়ে অন্ধকারে নিমর্জিত ছিল বানভাসিদের জীবন । অনেক ক্ষেত্র ত্রান কার্যক্রম ও অব্যাহত রাখা সম্ভব ছিল না। সেনাবাহিনী , নৌবাহিনীর পক্ষে ও বিঘ্ন ঘটেছে।

 

অসহায় মানুষের এই দুর্যোগ কালে একদল নর পিশাচ দানবের দল অসহায় চরম সংকটাপন্ন বন্যার পানিতে মানুষ যখন হাবুডুবু খেয়ে ভেসে যাচ্ছে তখন উদ্ধারের কাজে নেমে নৌকার ভাড়া ৩/৪ গুন বাড়িয়ে ২০/৫০ টাকার ভাড়া ৫০হাজার টাকা দাবী করেছে এমন কি গর্ভবতী মহিলা ,বৃদ্ধ ও শিশুরা ও রেহাই দেয় নি । এমন কি ৪০ হাজারে ও দানব্ দের বশে আনা সম্ভব হয় নি ।সকলের পক্ষে এই উচ্চ মুল্যে ভাড়া দিয়ে ত্রান দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়েছিল।দেশ প্রেমিক সেনা বাহিনীরা সে ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। ভাটি বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোন কোন অঞ্চলে ত্রান পৌঁছানো সম্ভব হয়নি তাঁদের হাহাকারে ও আহাজারিতে আকাশ – বাতাস প্লাবিত হয়েছে । মানুষের এই দুর্ভোগ ১২২ বছরে কখন ও কেউ দেখেনি। বন্যার এই দানবীয় তাণ্ডব অবর্ণনীয় । খাবারের বিশেষ করে পানীয় জলের অভাব ছিল চরমে। আজ শিশু বৃদ্ধের সকল বয়সের মানুষদের খাবার পাউরুটি ও জল অনেক সময় তাও মিলছে না। তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে অসহায় মানুষের দৃষ্টি ছিল ত্রানের দিকে !!

 

লক্ষ্য করা গেছে কিছু মুখোশ ধারী ত্রান বিতরনে দামী লাইটেসে চড়ে ট্রলারে বসে স্প্রাইট পান করে হাসি – আনন্দে মেতে আবার সেলফি তুলে নিজেকে প্রকাশ করতে ব্যস্ত এদিকে পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুধার্তদের হাহাকারে বাতাস ভারী হচ্ছে। তাদের এই মানসিকতাকে কি বলা যায় আমার জানা নেই । সমব্যথী না হলে সেবা কাজ পূর্ণতা পায় না! অনেক বিত্তবান টিভি দেখে হা হুতাশ ই করছেন কিন্তু শামুকের মতো মনকে গুটিয়ে রেখেছেন! বিত্তশালীদের চিত্তশাশী হওয়া খুব কঠিন! বিত্তবানদের খেয়াল রাখতে হবে জীবনে প্রচুর উপার্জন করেছেন , ভবিষ্যতে আর ও করবেন কিন্তু মানব সেবার মহৎ কাজ করার সুযোগ সব সময় আসে না । সেবাই পরম ধর্ম। এখন ই মানব সেবায় হাত প্রসারিত করার উপযুক্ত সময় । জাতি ধর্ম – বর্ণ নির্বিশেষে এই সেবা করাই সেবার মূলমন্ত্র । আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধারণ ক্ষমতার বেশি হওয়ায় সেখানে সবাই মানবেতর জীবন – যাপন করছে বিশেষ করে পানীয় জল ও পয়োনিস্কাশন।

আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি সিলেট শহরে ও কিছু মধ্যবিত্তরাও ই ভয়াল বন্যার কবলে পড়ে হোটেলে আশ্রয় নিতে হয়েছে সেখানেও ৩/৪গুণ ভাড়া দিয়ে উচ্চ মুল্যে খাবার সব মিলে এক চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে । বাঙালি সব সময় সুযোগের সন্ধানী লাভের অংক আগে খুঁজে । সিলেট শহরে ও ২০টাকার ভাড়া ১০০ – ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে কারন মানুষ নিরুপায় । মানব এখন দানবে রূপ নিয়েছে । মানুষের লাশ আর গবাদি পশুদের ভাসে যাচ্ছে সমান তালে ! দাফনের জায়গা নেই জেলা প্রসাশক ও বলেছেন বেশি ভড়া দিয়েও নৌকার আকাল পড়েছে । এই হৃদয় বিদারক চিত্র সহ্য করা কষ্টকর ব্যাপার !

 

সিলেট সাধারণত প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা । উনারা অনেক অবদান রাখতে পারেন তবে সেখানে আন্তরিকতা ও মনের দৈন্যতা প্রশ্ন আসে। অনুপ্রেরণা দেওয়া ও একটা শক্তির কাজ করে । সেদিন আমার এক স্নেহের প্রবাসীকে বলেছি ” এখন দেশের মানুষের জন্য কিছু করা দরকার ” ।

 

আমাদের চৈতন্য কবে জাগ্রত হবে আর নিজেকে পূর্ণাজ্ঞ মানুষ হিসাবে ভাবব , কবে হবে হুঁশ জানিনা ! আসলে সমাজে কিছু মধ্যবিত্তরাই সংবেদনশীল হয়ে থাকেন । মানুষের দুঃখ – কষ্ট উনাদের ভাবায় ও অনুভূতির তারে ঝংকার তুলে । যে ত্রান সামগ্রী বিভিন্ন সংস্থা থেকে দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল । অনেকে বৃষ্টির পানি ও পান করেছেন !

 

সিলেটের এই প্রলয়কারী বন্যায় বিভিন্ন সামাজিক সরকারী – বেসরকারি অনেক সঙ্ঘটন ত্রান ও উদ্ধার কাজে অনেক অবদান রে চলেছেন ও অব্যাহত ও রাখবেন বলে মন্তব্য ও করেছেন । আমি তাঁদের মনোবল্ কে স্যালুট জানাই । গত ১৪জুন থেকেশুরু হওয়া বন্যায় সিলেট জেলায় ৬৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২লাখ ৩০হাজার ৬৩২অন আশ্রয় নেন , তবে পানি কমে যাওয়ায় অনেকে তাদের ভিটায় ফিরে গেছেন । তবে এখনও ৬১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫হাজার ৬৮৫জন্ রয়ে গেছেন । আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যা কবলিতরা ৩১হাজার৯৭টি গাবাদি পশু নিয়ে আসছিলেন এখন সেখানে ৫৩০ টি রয়েছে । উল্লখ্য বাঞ্চাসি মানুশ গন ত্রান পেলেও গপ্নাদি পশুর খাবার পাওয়া যায় নাই তাইঅনাহারে অনেক গবাদি পশু মারা গিয়েছে । প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে ।

 

মানন জীবনের আদর্শকে অবলম্বন করে নিজ নিজ কর্তব্য সম্পাদনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলার পরিণামে শান্তি ও আনন্দের অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছানো যায় ।
সে ক্ষেত্রে একটি সিড়ির প্রয়োজন । আর সেই সিড়ি হল একটি উচ্চতর ” আদর্শ ” । এই আদর্শের প্রত্যেক ধাপেই মানুষের হৃদয়ে পৌঁছানোর এক ” সফল বার্তা” বহন করে । কিন্তু আত্মবিকাশ ঘটেনি বলে আজ সেই ” আদর্শ ” নামক বিশেষনটি হারিয়ে যেতে বসেছে ।

 

বর্তমান ভোগবাদি সমাজ ব্যবস্থা মুমুক্ষ মানুষের হৃদয়ের অন্ধকারকে দূরীভূত করে আলো জ্বালাতে অক্ষম । কারণ সংসারী মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত। আমাদের মনের সংকীর্ণতা দূর করতে হবে। জীবনে সুখ আছে আছে প্রেম , দুঃখও আছে । তবে দুঃখের পাল্লাই ভারী বেশি । তাই তো কবি গুরুর কাছে যেতে হয় — ” আছে দুঃখ আছে মৃত্যু , বিরহ দহন লাগে / তবু আনন্দ , তবু শান্তি / তবু আনন্দ জাগে …। দুঃখকে সয়ে জয় করতে পারা ই মানুষের পরম সার্থকতা অন্যতায় মনে ত্যাগ – বৈরাগ্য আসে না । মনের প্রসারতা ছাড়া মহৎ কাজ আশা করা দুরহ । কারন যে জাতি মনে বড় সে জাতি জ্ঞানে ও বড় । অপর দিকে সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভরতা আসে না । ফলে মনে অস্তিরতা ও অবিশ্বাস থেকে জন্ম নেয় দুর্নীতি ও নানা অসামাজিক কর্মকান্ড । আদর্শবিহীন জীবন মাঝি বিহীন নৌকার মতোই । কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ভাগ্য বিপর্যয়ে ও যেন আমরা নীতি ও আদর্শ ভ্রষ্ট না হই এমনকি গ্রহ বিভ্রাটে ও যেন না হই উদ্ভান্ত ও ভীত ।

সর্বনাশী বন্যায় থমকে গেছে হাওর – বাওর প্রত্যন্ত অঞ্চলের বানবাসিদের জীবন । যেন মহা প্রলয়ের পর নব জীবন । ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন সমগ্র বানভাসিদের জীবন তরী । ধীরে ধীরে জীবনের গতি ফিরতে শুরু করছে কোথাও কোথাও পানি কমে যাওয়াতে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করছে ।

 

জৈনিক ভুক্তভোগী — ” ফানি তো গেছেগি , আমরা অখন কোয়াই যাই ? এখানে তো দুই বেলা খাওন ফাই ঘরে গিয়া কিতা খাইমু নিশ্চয়তা নাই , আমরা তো খাইরাম গরু – বাছুরের তো খাওন নাই খাওনের অভাবে সব মইরা গেছে । মঙ্গলবারে চাউলের বস্তা আনছি , বৃহস্পতিবারে বন্যায় সব ভাসাইয়া নিয়া গেছে !

 

আয়মন বিবি বলছেন — ” বন্যা আসার ফর এক কাফরে ই আছি , গতরের কাফর গতরেই হুঁকায় , ফিন্নর কাফর ছাড়া আর কুন্তা নাই “। আরেক জন বলছেন ” কুন্তা বালা লাগে না কাম কাজ নাই হাতে ফয়সা করি ও নাই কিলা কিতা করমু !! আর বাঁচতাম যে কিলা ” !!

 

সব হারিয়ে আজ ওরা সর্বস্বান্ত , গোলাভরা ধান , শিশুদের শিক্ষার সামগ্রী , কৃষকদের লাঙ্গল – জোয়াল , ধানের বীজ , দলিল ও জরুরী কাগজ পত্র । সব ভাসিয়ে নিয়েছে । পানি হুহু করে আসাতে তাড়াতাড়ি দৌড়াতে গিয়ে অনেকে স্বর্ণা অলংকার ও হারিয়েছেন!

 

সরকারী উদ্যোগে ত্রান দীর্ঘ মেয়াদী রাখতে হবে , শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী দলিল ও ধানের বীজ সব কিছু বিনা উৎকোচে করতে হবে যাহাতে বানভাসিরা অতি অল্প সময়ে তাদর পূর্ব জীবনে ফিরে যেতে পারে ও দেশের অর্থনৈতিক কর্ম – কান্ডে অংশ নিয়ে অবকাঠামো ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় ।

 

বন্যা পরবর্তী উত্তরণের জন্য এখন থেকে ই এমন কাজ করতে হবে যাতে হারানো সক্ষমতা ফিরে আসে। বন্যা পরবর্তী রোগ – ব্যাধি প্রতিরোধে মেডিক্যাল টীম বহাল রাখতে হবে । যদিও ১৪০টি মেডিক্যাল তীম কাজ করছে । যেহেতু সুনামগঞ্জে বোরো ধানের ক্ষতি বেশি হয়েছে সে জন্যে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম প্রস্থোতি নিতে হবে । প্রান্তিক মানুষ দের স্বাবলম্বী করতে সহজ উপায়ে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে । যেমন করেছে হবিগঞ্জ উন্ন্যন সংস্থা । নিম্ন আয়ের নারীদের সহজ শর্তে ৫০লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে ২০০জন নারীকে।

সরকার ৫কোটি টাকা ঘর মেরামতে অনুদান ইতি ধধ্যেই দিয়েছেন । সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এন জিও ও কিছু সংস্থা এগিয়ে আস্ তে হবে । নদীর নাব্যতা ফিরে এনে নদীর স্বাভাবিক চলার পথকে স্বাধীনতাদিতে হবে । নদী ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ সরকারী – ও বেসরকারী সকল স্তরের মানুষদের জন্য আইন করে বন্ধ করতে হবে ।

বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের হিসাব অনুযায়ী সিলেটে পুকুর – দিঘি মিলে তিন শতাংশ জলাশয় ছিল কিন্তু পরিতাপের বিষয় এর দুই তৃতীয়াংশ ই ভরাট হয়ে গিয়েছে । অনেক জলাশয় ভরাট করে সরকারী প্রতিষ্ঠান ও গড়ে উঠেছে । তা ছাড়া ও সিলেটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় ২৫টি খাল যা প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট । এই খাল ও ছরা সুরমা নদীতে মিশেছে । এইসব ছরা দিয়ে ই বর্ষার পানি নিষ্কাশন হত । কিন্তু আজ সেই ছরা ও খালের অস্তিত্ব ই খুঁজে পাওয়া মুশকিল ! দখল হয়ে যাওয়াতে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় ।আর নগরবাসী দুর্ভোগ পোহাতে হয় ।

 

নাগরিক হিসাবে দেশের নদীকে দোষণ মুক্ত রাখা সংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য । কিন্তুমানব সৃষ্ট অপরাধের কারনে আজ বন্যার এই ভয়াবহ চিত্র । পাহাড়ের বন ধ্বংসের কারনে মাটিগুলো পানি ধরে রাখতে পারছে না । যারা দেশের নেতা ও কর্তা ব্যক্তি বলে বিবেচিত তারা নির্বিচারে খাল ও নদী ভরাট করে গড়ে গেড়ে তুলছে টাকার পাহাড় । এই সব দুর্মতি ও দুর্নীতি বাজ মানুষদের কারনেই জীব বিচিত্র ও সমাজের অবক্ষয় আজ চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে । এইসব লোভীদের জন্য ই আজ সিলেটে বন্যার কারন ।এই সব দূরবৃত্ত – দুষ্টু চরিত্রের লেলিহান শিখা নির্বৃত্ত না হলে দেশের স্বপ্ন ” ভিশন প্রকল্প ২০৪১ ” রূপ রেখা ও উন্নত রাষ্ট্র বহিঃবিশ্বে বাস্তবায়ন হুমকীর প্রশ্ন । সুপরিকল্পিত নগরায়ন অত্যন্ত জরুরী উন্নত দেশ, জা্তি , ও সমাজের জন্য । অড়িতগতিতে দুর্গতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা এবং বহিঃবিশ্বের প্রজুক্তিকে ব্যবহার করে যাহাতে জাতি এই ভয়াবহ নিষ্ঠুর – হৃদয়বিদারক চিত্র আর না দেখতে হয় ! মানুষের মৃত্যু যেন স্বাভাবিক নিয়মে হয় আর যেন বন্যার পানিতে লাশ ভেসে না যায় ! দুটি শিশুকে হাড়িতে ভাসিয়ে কোন মা যেন ভেসে না যায় ! ঐ দুটি অবুজ শিশু আকাশের দিকে তাকিয়ে কি বার্তা দিতে চায় ? জাতি আজ সে উত্তর জানতে চায় ! কে দেবে এর উত্তর ?? অবশেষে ঐ অবুজ শিশু দুইটির কি পরিণতি হয়েছে! কেউ কি এর উত্তর দিতে সক্ষম ??

বাঙ্গালীর আকাশে অমানিশা স্থায়ী হয়নি কখন ও । ৭১ রে সূর্যসেনারা বিজয়ী হয়ে লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। করোনাকে জয় করেছে। অবশেষে পদ্মা সেতু ও জয় করেছে । বাঙালি সব ই পারে। এটাই প্রমানিত হয়েছে। কাজেই এই মহাবন্যাকে জয় করে বানভাসি অসহায় মানুষদের জীবনে নব সূর্যয়ের দ্বার উন্মোচন ঘটাব। আসুন সকলে মিলে মানবিক হয়ে ওদের মুখে হাসি ফুটাই ! বিশ্ব কবি তাইতো গেয়েছেন — “” নব আনন্দে জাগো আজি নব রবি কিরণে। বান ভাসিরা আবার ঘুরে দাঁড়াবে নব আশা নিয়ে !!!

 

ক্রাইম সিলেট ডটকম/ রায়হান 

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..