সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২২
ক্রাইম প্রতিবেদক: কানাইঘাটে ১৬ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মৃত মুতলিব উদ্দিনের পুত্র ফাহাদ আহমদকে (২৩) আসামি করে মাদ্রাসা ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, যাহার থানার মামলা নং-১০, তাং- ১০/০৮/২২ইং। তবে থানা পুলিশ নিয়মিত মামলা রুজু করলেও ১৪ দিনে এখনো অধরা প্রধান আসামি ফাহাদ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে- পলাতক আসামি ফাহাদ বাদীর প্রতীবেশী। গত ৩০ জুলাই দুপুরে ভিকটিমের ভাই ও মামলার বাদী তার সিএনজি গাড়ি নিয়ে কানাইঘাট বাজারে যান। এই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় ভিকটিম তার শয়ন কক্ষে ঘুমায়। আসামি ফাহাদ মামলার বাদীকে খোঁজ করে রাত অনুমাণ ০৭:৪৫ ঘটিকায় তার শয়ন কক্ষে ঢুকে ভিকটিমকে একা দেখে তাকে কু-প্রস্তাব দিলে ভিকটিম তার কথায় অপারগতা প্রকাশ করিলে আসামি দ্রুত শয়ন কক্ষের দরজা বন্ধ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে ঝাপটাইয়া ধরিয়া মামলার বাদীর শয়ন কক্ষেই ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ধর্ষক ফাহাদ।
এক পর্যায়ে ভিকটিমের চিৎকার শুনে তার মা বাবা ও আশপাশের লোকজন দৌড়াইয়া আসলে আসামি ফাহাদ কৌশলে ঘটনাস্থল হইতে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষক ফাহাদের প্রভাবশালী আত্মীয়স্বজন এলাকার কয়েকজন অসাধু কথিত মুরব্বিদের মাধ্যমে সালিশ বৈঠকের নামে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন।
কিন্তু মামলা দায়েরের প্রায় ১৪ দিন অতিক্রম হলেও অদৃশ্য কারণে আইনের ধরাছোঁয়ার বাহিরে ধর্ষক ফাহাদ। অদৃশ্য কারণে আসামি গ্রেফতার না করায় এক দিকে যেমন সাধারণ জনগণের নিকট পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে টিক তেমনি আইনের প্রতি ধীরে ধীরে আস্থা কমছে সাধারণ জনগণের।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ আঃ জলিলের ব্যবহৃত নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- আসামিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সম্ভব হলে আমাদের আসামির তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করুন প্রয়োজনে আমি নিজে আসামিকে ধরতে অভিযানে যাবো বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd