সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথের দাবি— ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ বা তারও বেশি হতে পারে। অর্থাৎ ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে।
নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে তিনি স্কাই নিউজকে বলেন, আমি মনে করি ধ্বংসস্তূপের নিচের অবস্থা সঠিকভাবে অনুমান করা কঠিন, তবে আমি নিশ্চিত যে এটি দ্বিগুণ বা আরও বেশি হবে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। খবর আলজাজিরার।
দেশ দুটিতে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে দুর্ঘটনার একশ ঘণ্টা পার হওয়ার এখন কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
ইতোমধ্যে তুরস্ককে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন দেশ। তবে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠাণ্ডা, বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা। কখনো কখনো তাপমাত্রা নেমে আসছে হিমাঙ্কের নিচে। তীব্র শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাচ্ছেন গৃহহীন মানুষেরা। আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা। ফলে তাদের মধ্য থেকেও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
তুরস্কের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, রোববার ভূমিকম্পের ১৪০ ঘণ্টা পরও ধংসস্তূপের নিচ থেকে সাত মাসের একটি শিশু জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজিআনতেপ শহরের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৩ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। এর পর আরও কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় দেশটিতে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd